আহত পন্তের লড়াকু ফিফটির পর ৩৫৮ রানে অলআউট ভারত
Published: 24th, July 2025 GMT
দলের বিপদের সময় ইনজুরি আক্রান্ত পা নিয়েও মাঠে নেমে পড়েন ঋষভ পন্ত। তার লড়াকু ফিফটির পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয় ৩৫৮ রানে। ১১৪.১ ওভারে তারা এই রান করে।
৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করেছিল ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ১৯ ও শার্দুল ঠাকুর ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই রবীন্দ্র জাদেজা আউট হন ২০ রান করে। এরপর মাঠে নেমে পড়েন পন্ত। তিনি একপ্রান্ত আগলে থাকলেও অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে।
৩১৪ রানের মাথায় শার্দুল ফিরেন ৫ চারে ৪১ রান করে। ৩৩৭ রানের মাথায় আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি ২ চারে করেন ২৭ রান। একই রানে অংশুল কম্বোজ ডাক মেরে ফেরেন।
আরো পড়ুন:
পায়ের পাতায় চিড় নিয়ে দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ফিরলেন পন্ত
পন্তের চোটে অস্বস্তি, প্রথম দিনে ২৬৪ রানে থামল ভারত
৩৪৯ রানের মাথায় আউট হন পন্ত। যাওয়ার আগে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস খেলে যান। এরপর ৩৫৮ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাসপ্রিত বুমরাহ। তিনি করেন ৪ রান। আর মোহাম্মদ সিরাজ অপরাজিত থাকেন ৫ রানে।
বল হাতে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ৭২ রানে ৫টি উইকেট নেন। জোফরা আর্চার ৭৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম ডসন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গিল-সুন্দর-জাদেজার সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়ের সমান এক ড্র
ম্যান্ডেটরি শেষ এক ঘণ্টার খেলা যখন শুরু হবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস এগিয়ে গেলেন ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যানের দিকে। উদ্দেশ্য ড্র মেনে নিয়ে করমর্দন করা। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর ফিরিয়ে দিলেন স্টোকসকে। না, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট জয়ের কোনো সম্ভাবনাই ছিল না জাদেজা-সুন্দরের ভারতের। ৮৯ ও ৮০ রানে দাঁড়ানো দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির এত কাছে থেকে ফিরতে চাননি বলেই ফিরিয়ে দিয়েছেন স্টোকসের প্রস্তাব।
এরপর যা হলো সেটিকে হাস্যকর বলাই ভালো। প্রায় অন্ধকার হয়ে আসা মাঠে বল করলেন হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের মতো অনিয়মিত স্পিনাররা। আর জাদেজা ও সুন্দর মেরেকেটে দ্রুতই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। প্রথমে সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেন জাদেজাই। ব্রুককে ছক্কা মেরেই পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা সুন্দর তিন অঙ্ক ছুঁলেন ১৫ বল পর ব্রুকের বলেই ২ রান নিয়ে। এরপরই দুই দলের খেলোয়াড়েরা হাত মিলিয়ে ড্র মেনে মাঠ ছাড়েন। আর তাতে ওভালে সিরিজের শেষ ম্যাচটাই হয়ে গেল সিরিজ নির্ধারণী। চার ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।
শেষটা অদ্ভুতুড়ে হলেও জাদেজা ও সুন্দরের অবশ্য সেঞ্চুরি পাওনা হয়েই গিয়েছিল। সকালে লোকেশ রাহুল ও শুবমান গিলের বিদায়ের পর শেষ দুই সেশনে কী প্রতিরোধটাই গড়েছেন দুজন। ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে ম্যাচটা ড্র করে ভারতকে সিরিজে টিকিয়ে রাখার পুরস্কারই তো সেঞ্চুরিতে পেলেন দুজন।
ম্যাচটা যখন শেষ হলো ভারতের স্কোর ৪২৫/৪। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে চেয়ে দলটি এগিয়ে গিয়েছিল ১১৪ রানে। স্টোকস যখন প্রথমবার ড্রর প্রস্তাব দিলেন তখন দলটি এগিয়ে ছিল ৭৫ রানে। পঞ্চম উইকেটে ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া জাদেজা ১৮৫ বলে ১০৭ ও সুন্দর ২০৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ শেষ দিনটা ভারত শুরু করে ২ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে। ৩১১ রানের ঘাটতি নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি গতকাল শূন্য রানেই প্রথম ২ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারার শঙ্কায় পড়ে। তবে গিল-রাহুল সেদিন আর উইকেট পড়তে দেননি। দলটি তৃতীয় উইকেট হারায় ১৮৮ রানে। ভারতের ওপেনার লোকেশ রাহুলকে এলবিডব্লু করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরির পাননি রাহুল। তবে ১৮৮ রানের জুটিতে তাঁর সঙ্গী শুবমান গিল সেঞ্চুরি তুলেই ফিরেছেন, করেছেন ১০৩ রান। এই সিরিজে যা ভারত অধিনায়কের চতুর্থ সেঞ্চুরি। তাতে এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে দুই কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও সুনীল গাভাস্কারের পাশে বসেছেন গিল।
গিল ফেরেন ২২২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ভারত তখন পিছিয়ে ৮৯ রানে। এরপর আর উইকেট হারায়নি ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোরভারত: ৩৫৮ ও ১৪৩ ওভারে ৪২৫/৪ (গিল ১০৩, জাদেজা ১০৭*, সুন্দর ১০১, রাহুল ৯০; ওকস ২/৬৭, স্টোকস ১/৩৩, আর্চার ১/৭৮)।ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬৬৯।
ফল: ড্র
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১-এ এগিয়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বেন স্টোকস।