এশিয়া কাপে একই গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তান
Published: 25th, July 2025 GMT
ঢাকায় গতকাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভা শেষে এশিয়া কাপ নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানাননি সংস্থাটির সভাপতি মহসিন নাকভি। তবে এশিয়া কাপ যে হচ্ছে, সেটা বুঝিয়ে দেন তিনি, ‘এটা (এশিয়া কাপের সূচি) ঘোষণা করা হবে দ্রুতই। আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান করতে পারব।’
নাকভি জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ নিয়ে এখনো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এশিয়া কাপের সূচি দ্রুত ঘোষণা করবে এ টুর্নামেন্টের আয়োজক বিসিসিআই। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূত্র বলেছে, বিসিসিআই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুনভারতের সঙ্গে পরামর্শ করে এশিয়া কাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা১৭ ঘণ্টা আগেভারতের সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এবার এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা বেশি। এসিসির একটি সূত্র ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছে, এশিয়া কাপ আরব আমিরাতে আয়োজন করবে ভারত। দুবাইয়ে নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে ভারত। তবে সূচি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ ১৮ ও ইন্ডিয়া টুডে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এবার এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাই বেশি। ৮ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তানের থাকার অর্থ হলো দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে অন্তত দুবার মুখোমুখি হতে দেখা যাবে। গ্রুপ পর্বের পর সুপার সিক্সে মুখোমুখি হবে দুই দল। ফাইনালে উঠলে সেটি হবে তৃতীয় মুখোমুখি, যা সম্প্রচারকদের আরও বেশি আয়ের সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখনো খুব ভালো’—দাবি বিসিবি সভাপতির২৪ জুলাই ২০২৫গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। তারপর এবার এশিয়া কাপেই প্রথম মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে সে ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত।
ইন্ডিয়া টুডেকে সূত্র জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টের সূচি এ ভেন্যু চূড়ান্ত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনার টেবিলে বসবেন বিসিসিআই সহসভাপতি রাজীব শুক্লা এবং এসিসি ও পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে টুর্নামেন্টটি শুরু করার প্রস্তাব উঠেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: একই গ র প ব স স আই ইন ড য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ