চট্টগ্রামের বাজারে বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ, চড়া ইলিশের দাম
Published: 25th, July 2025 GMT
এক মাসের বেশি সময় ধরে সাগর উত্তাল থাকায় তেমন মাছ আসেনি চট্টগ্রামের বাজারে। তবে দুই দিন ধরে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বেড়েছে। এতে কিছু সামুদ্রিক মাছের দামও কমেছে। তবে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
নগরের অধিকাংশ বাজারে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ হয় ফিশারিঘাট ও কাট্টলীর রানী রাসমণি ঘাট থেকে। খুচরা বাজারে মাছের ক্রেতা বেশি বহদ্দারহাট, চন্দনপুরা, চকবাজার—এসব বাজরে। বাজার ঘুরে মাছের সরবরাহ গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি দেখা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে লইট্টা, কোরাল, রুপচাঁদার সরবরাহ বেশি। বেড়েছে বিভিন্ন আকারে চিংড়ির সরবরাহও। সামুদ্রিক মাছের বাইরে বাজারে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, কইয়ের সরবরাহ বেশি। বহদ্দারহাট ও চকবাজারে ইলিশ দেখা গেছে কম। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঘাটে ইলিশের সরবরাহ ভালো, তবে দামের জন্য তাঁরা কিনছেন কম।
বাজারে প্রতি কেজি রুই-কাতলা বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা। এ ছাড়া তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৮০, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৫০, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০, কই ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। দাম কমেছে লইট্টা মাছের। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি লইট্টা ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম কমার তালিকায় রয়েছে রুপচাঁদা, কোরাল ও চিংড়ি। গত সপ্তাহে কোরাল বিক্রি হয়েছিল ৭০০ টাকার আশপাশে। এ সপ্তাহে দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমেছে। রুপচাঁদা আকার ও মানভেদে ১০০ টাকা কমে ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আকারভেদে চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ঘাটগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘাটে গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। তবে দাম অনেক বেশি। ৩৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দেড় হাজার ও এক কেজি ওজনের ইলিশ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বহদ্দারহাট বাজারে মাছ ব্যবসায়ী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ছ র সরবর হ র সরবর হ ব
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//