কুয়েতে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত
Published: 25th, July 2025 GMT
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস আবু হোসেন মারফুল্লাহ নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। দূতাবাসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবার নামে অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আবু হোসেন মারফুল্লাহর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে আবু হোসেন মারফুল্লাহ কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আসা সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন কাজ দ্রুত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক উপায়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাকে একাধিকবার এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং দূতাবাসের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাকে কুয়েতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। তদন্তে আবু হোসেন মারফুল্লাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১২ জুলাই তাকে কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূতাবাস সকল প্রবাসীকে যেকোনো ধরনের অনৈতিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার এবং দালালের সাহায্য না নিয়ে সরাসরি দূতাবাসের সেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
এই পদক্ষেপ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রবাসীরা জানিয়েছেন, ভিসা ব্যবসার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ, দালালি এবং অন্যান্য জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে দূতাবাসের এই কঠোর অবস্থান সময়োপযোগী পদক্ষেপ। দূতাবাসের এই কঠোর অবস্থান প্রবাসীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এ ঘটনার মাধ্যমে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রতি দূতাবাসের দায়বদ্ধতা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কঠোর মনোভাব আরো একবার প্রমাণিত হলো।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স প রব স অন ত ক ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।