কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস আবু হোসেন মারফুল্লাহ নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। দূতাবাসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সেবার নামে অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আবু হোসেন মারফুল্লাহর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে আবু হোসেন মারফুল্লাহ কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আসা সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন কাজ দ্রুত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক উপায়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাকে একাধিকবার এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং দূতাবাসের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাকে কুয়েতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। তদন্তে আবু হোসেন মারফুল্লাহর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১২ জুলাই তাকে কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূতাবাস সকল প্রবাসীকে যেকোনো ধরনের অনৈতিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার এবং দালালের সাহায্য না নিয়ে সরাসরি দূতাবাসের সেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এই পদক্ষেপ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রবাসীরা জানিয়েছেন, ভিসা ব্যবসার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ, দালালি এবং অন্যান্য জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে দূতাবাসের এই কঠোর অবস্থান সময়োপযোগী পদক্ষেপ। দূতাবাসের এই কঠোর অবস্থান প্রবাসীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এ ঘটনার মাধ্যমে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রতি দূতাবাসের দায়বদ্ধতা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কঠোর মনোভাব আরো একবার প্রমাণিত হলো।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স প রব স অন ত ক ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
  • নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু, দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে