এমিরেটস নেবে ১৭৩০০ কর্মী, পাইলট–কেবিন ক্রুর বেতন কত
Published: 26th, July 2025 GMT
বিশ্বে দূরপাল্লায় চলাচলকারী বৃহত্তম এয়ারলাইন বা বিমান পরিবহন সংস্থা এমিরেটস ১৭ হাজার ৩০০ জন নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক গ্রুপটিতে দুআ বিভাগ রয়েছে ‘এমিরেটস এয়ারলাইন’ ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ইউনিট ‘ডিনাটা’। দুই বিভাগে এ বছরেই ১৭ হাজার ৩০০ জন নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। এমিরেটসের এক্স গ্রুপের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ৩৫০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলবে।
গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক্সে এক পোস্টে এমিরেটস জানায়, বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান কর্মী খোঁজার জন্য বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ১০০টির বেশি ওপেন ডে ও নিয়োগসংক্রান্ত ইভেন্ট আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে দুবাইতে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষার্থী ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কেবিন ক্রু, পাইলট, প্রকৌশলী, বাণিজ্যিক ও বিক্রয় দল, গ্রাহক সেবা, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, ক্যাটারিং, তথ্যপ্রযুক্তি, মানবসম্পদ, আর্থিক বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘ডিনাটা’ আলাদাভাবে ৪ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ করবে শুধু কার্গো, ক্যাটারিং ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিভাগে।
আরও পড়ুনকৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে নিয়োগ, পদ ৯৭২৪ জুলাই ২০২৫এদিকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এমিরেটস গ্রুপ ৪১ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে বিমান সংস্থাটির মোট কর্মী ১ লাখ ২১ হাজারের বেশি। দুবাইভিত্তিক কর্মীদের জন্য এমিরেটস নানা সুবিধা প্রদান করে। যেমন লভ্যাংশ শেয়ারের সুযোগ, চিকিৎসা ও জীবনবিমা, ভ্রমণসুবিধা (ফ্লাইট টিকিটসহ), বার্ষিক ছুটি, ছাড়মূল্যে কার্গো সেবা। এ ছাড়া বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁ ও লাইফস্টাইল পণ্য বিক্রির কেন্দ্রে ডিসকাউন্ট কার্ডও প্রদান করে।
এ বছরে এমিরেটস ১৭ হাজার ৩০০ জন নতুন কর্মী নিয়োগ দেবে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।