রাহুল-গিলের ব্যাটিং দৃঢ়তা, শেষ দিনে হবে কি শেষ রক্ষা?
Published: 27th, July 2025 GMT
ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের দৃঢ়তায় খেলা পেয়েছে নতুন মোড়। ৩১১ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করলেও, দিন শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ১৭৪। যেখানে অপরাজিত আছেন কেএল রাহুল (৮৭*) ও শুভমন গিল (৭৮*)।
দিনের শুরুটা ভারতীয় শিবিরের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। দু’জনেই শূন্যরানে আউট হন। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে একরকম হোঁচট খাইয়ে দেন।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ যেন ভারতের হাতছাড়া হবার দ্বারপ্রান্তে। লাঞ্চে স্কোর ছিল মাত্র ১/২। সমর্থকদের মনে তখন একটাই প্রশ্ন, ইনিংস হার কি আজই লেখা হয়ে গেল?
আরো পড়ুন:
ডাকেট-ক্রাউলির তাণ্ডবে ছায়ার মতো পিছিয়ে ভারত
আহত পন্তের লড়াকু ফিফটির পর ৩৫৮ রানে অলআউট ভারত
কিন্তু সেই আঁধারেই আলো জ্বালান রাহুল ও গিল। দুই সেশনের পুরো সময়টিতে প্রতিরোধের নিখুঁত নজির গড়েন তারা। ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আর টেকনিক্যাল ব্যাটিংয়ে ইংলিশ বোলারদের আটকে দেন কার্যত দেয়াল গড়ে।
গিল শুরু করেন কিছুটা আগ্রাসী ভঙ্গিতে। দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ ও স্ট্রেট ড্রাইভে জমিয়ে খেলেন। ৪৬ রানে একবার জীবন পেয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৭৭ বলে। অন্যদিকে রাহুল খেলেন যেন ব্যাট হাতে এক নিঃশব্দ বিপ্লব। ১৪১ বলে অর্ধশতক ছুঁয়ে যান এই অভিজ্ঞ ওপেনার। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের স্কোরবোর্ডেও আসে স্বস্তি। দুই ব্যাটারের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনেই ১০০ ও পরে ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় ভারত।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২ উইকেটেই ১৭৪ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ভারত।
তার আগে অবশ্য চতুর্থ দিনের শুরুটা ইংল্যান্ডেরই ছিল। বেন স্টোকস ও লিয়াম ডসনের ব্যাটে সকালে তারা ছাড়িয়ে যায় ৫৫০ রান। এরপর বুমরার হাতে ডসন ফিরে গেলেও, নবম উইকেটে স্টোকস ও ব্রাইডন কার্স মাত্র ৯৮ বলে যোগ করেন ৯৫ রান। স্টোকস তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তিন বছর পর টেস্টে শতরানের স্বাদ পেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্টোকস ১৪১ রানে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। কার্সও পঞ্চাশের কাছাকাছি এসে আউট হন। ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৬৬৯ রানে।
ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, চারটি উইকেট নেন তিনি।
দিন শেষে ভারতের ঘাড়ে এখনও ১৩৭ রানের বোঝা থাকলেও, রাহুল ও গিলের ব্যাটে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। পিচে বাউন্সের অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও তাদের নিঃশব্দ লড়াই আগামী দিনের জন্য আশার রেখা দেখাচ্ছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে