জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: দুদকে অধ্যাপক বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ
Published: 27th, July 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জনতা ব্যাংকের ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আজ রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আবুল বারকাতকে দুদকের সেগুনবাগিচা প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে সেখানে হাজির করে। পরে তাঁর প্রথম দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
আবুল বারকাতের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে ২৩ জুলাই আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকার বেশি ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে ‘অ্যাননটেক্স’ গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এতে অধ্যাপক আবুল বারকাত ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এরপর ১০ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংক পিএলসি ভবনের করপোরেট শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করেন। এসব অর্থ পরে বিদেশে পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জনতা ব্যাংক ‘অ্যাননটেক্স গ্রুপ’–এর ২২টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা ঋণ দেয়। তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপক আবুল বারকাত।
২০১২ সালে এই ঋণ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। তবে ২০২২ সালে ‘প্রমাণের অভাবে’ তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও তদন্তে নামে সংস্থাটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।