আওয়ামী লীগের কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে তাহসিন বাহার সুচনার ১৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা ফ্রিজ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাহসিন বাহার সুচনা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে, বাহার মনোহরপুর, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা এবং তার মেয়ে তাহসিন বাহার সুচনা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণা, জাল-জালিয়াত, কমিশন গ্রহণ, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। এজন্য তাদের ১৭টি ব্যাংকের ৫৩টি অ্যাকাউন্টের ১৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিআইডির জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন শিবাজি-দয়া-আদিত্য?

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ টাকা ফ্রিজের আদেশ দেন।

এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনে দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স আইড স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগে গত ১০ বছর বাধা দেওয়া হয়েছিল: চীনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিগত সরকারের শেষ ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি চীন। এই দুই দলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সে সময়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে। এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, খোলাখুলিভাবে বললে, গত ১০ বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে, তাই তাঁরা পুনঃযোগাযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁরা এ ধরনের সফর বিনিময় ও যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে চান।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে কীভাবে বাধা দেওয়া হতো, জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটি এখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তিনি কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেটা উপস্থিত সাংবাদিকেরা বোঝেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গত মাসে চীন সফর করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর হয়। অন্যদিকে চলতি মাসে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করে।

ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ