যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অনায়েস জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর আগে বাংলাদেশ হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। টানা দুই জয়ে বাংলাদেশ রয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২৭৪ রান করে ৮ উইকেটে। জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থেমে যায় ১৮৩ রানে।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ওপেনার জওয়াদ আবরার। ৬৩ বলে ৮২ রান করেন ১২ চার ও ১ ছক্কায়। এই সফরে তার ব্যাটে রানের ফোয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে টানা তিন ফিফটির পর ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ফিফটি তুলে নেন। মাঝে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২০ রান। চার ফিফটি পেলেও কোনোটি সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে না পারা হতাশার অবশ্য।
আবরারের আরেকটি ফিফটি পাওয়ার দিনে আব্দুল্লাহও মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন। ৬৪ বলে করেছেন ৫৬ রান। এছাড়া রিফাত বেগ ৩১, আজিজুল হাকিম ৩৪ রান করেন। শেষ দিকে দেবাশিষ দেবার ২৪ রানে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ভালো সংগ্রহ পায়।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন টাটেন্ডা চিমিগুড়ো, সিমবারাসে ও ব্রেন্ডন সেনজেরে।
লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ের ওপেনার নাথানাইল হালবানগানা বাদে কেউই পারেননি ভালো কিছু করতে। ওপেনার ৭২ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ব্রেন্ডন সেনজেরে। বিশের ঘর ছুঁয়েছেন কিয়ান বিলনট ও ব্রেন্ডন ডিওয়ানি।
বাংলাদেশের বোলিং ছিল আঁটসাঁট। সাইমুন বসির ৮.
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।
এজন্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।
আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’
এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।
মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন