সেঞ্চুরির সব রেকর্ড কি ভেঙে দেবে ইংল্যান্ড–ভারত সিরিজ
Published: 29th, July 2025 GMT
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। চার ম্যাচ শেষেই সেঞ্চুরি হয়ে গেছে ১৮টি। ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড হয়ে গেছে এরই মধ্যে। আগের রেকর্ডটা ছিল ১৫ সেঞ্চুরির। ১৯৯০ সালে সেই সিরিজেও ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তবে সিরিজটি ছিল তিন ম্যাচের।
ইংল্যান্ডের মাটিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা তো হয়েই গেছে। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভেঙে যেতে পারে বিশ্ব রেকর্ডই। ওভালে সিরিজ-নির্ধারণী শেষ টেস্টে আর ৪টি সেঞ্চুরি পেলেই তো নতুন বিশ্ব রেকর্ড দেখবে ক্রিকেট। টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি দেখেছে ১৯৫৫ সালে। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই দল মিলে সেঞ্চুরি করেছিল ২১টি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা ১২টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা ৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সেই সিরিজে।
সিরিজে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইড ওয়ালকট। টেস্টে এক সিরিজে যা বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে এখনো। তবে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তির পাশে বসার সুযোগ আছে শুবমান গিলের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম চার ম্যাচেই ৪টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। ওভালে গিল আরেকটি সেঞ্চুরি পেলেই ঘুচবে ওয়ালকটের ৭০ বছরের নিঃসঙ্গতা। আর গিল জোড়া সেঞ্চুরি পেয়ে গেলে যে ৭০ বছরের পুরোনো রেকর্ডটা খোয়াবেন ওয়ালকট, সেটি না বললেও চলত।
*শুরুতে স্বাগতিক দলের নাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।