প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন মেহজাবীন; অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী নন। টাঙ্গাইলের মেহজাবীন বিন রিফাত। মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলো কার্যালয়ের দশম তলার বোর্ডরুমে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন মেহজাবীন চৌধুরী। মেগা পর্বে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দুই রাত, তিন দিন (দুজন) থাইল্যান্ড ভ্রমণের টিকিট পেয়েছেন তিনি।

ঢাকার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার–২০২৪’ দেওয়া হয়েছে গত ২৩ মে। পাঠক ভোট দিয়ে নির্ধারণ করেন তারকা জরিপ পুরস্কার। কুপন ও এসএমএসে পাওয়া ভোট থেকে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ী। যাঁরা কুপন পাঠান, লটারির মাধ্যমে তাঁদের জন্যও থাকে পুরস্কার।

২৮ জুন তাঁদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, তরুণ অভিনেতা ফররুখ আহমেদ রেহান ও কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা।

আরও পড়ুনলটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ করলেন তারকারা, কারা পেলেন পুরস্কার০২ জুলাই ২০২৫

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী, দিলশাদ নাহার কনা, তৌসিফ মাহবুব, তটিনীসহ আরও অনেকে। প্রথম আলো কার্যালয়ের দশম তলার বোর্ডরুমে হাজির হয়েছেন বিজয়ীরা। কেউ এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে, কেউ নওগাঁ থেকে। পৌনে পাঁচটায় পুরস্কার বিতরণী আয়োজন শুরু হয়েছে। প্রিয় তারকাকে পেয়ে অনেকে সেলফি তোলেন, কুশল বিনিময় করেন। একে একে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

কার কাছ থেকে পুরস্কার নিতে চান? চার তারকাকে দেখিয়ে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। তানভীর মাহমুদ উত্তর দেন, তৌসিফ (মাহবুব) ভাইয়ের কাছ থেকে। এরপর তৌসিফ তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণী শেষে বিজয়ীরা কনার কাছে গান শোনার আবদার করেন। সবার অনুরোধে ‘কন্যা’ গানটি ধরেন কনা।

অতিথিদের স্বাগত জানান প্রথম আলোর হেড অব কালচারাল প্রোগ্রাম কবির বকুল।আয়োজনের শুরুতে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব, অভিনেত্রী তটিনী, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার তেহসিনা খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং) মীর মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র প রস ক র ত ল প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ