একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. মোবারক হোসেন।

দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগে আপিল করেছিলেন মোবারক। তাঁর করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ বুধবার এ রায় দেন। একই সঙ্গে মোবারককে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায় বাতিল করা হয়েছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় এই প্রথম আপিল করে কেউ খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন মোবারকের আইনজীবীরা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন মোবারক, যার ওপর ৮ জুলাই শুনানি শুরু হয়।

২২ জুলাই শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। সে অনুযায়ী আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে মোবারকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম উপস্থিত ছিলেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২,৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত না হওয়ায় এগুলো থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে রুকন হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।

আপিল বিভাগের রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। দুই অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করা হয়েছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁর কারামুক্তিতে বাধা নেই।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ ম ব রকক ম ব রক অপর ধ র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে

রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।

দুদকের রাজশাহীর আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন।

শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ‘ক্রিস্টাল ক্যাসেল’ নামের একটি বহুতল ভবনের নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।

তিনি দীর্ঘদিন রাজশাহীর জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার ১৪৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। 

এ অভিযোগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুরাইয়া মতিনের মৃত্যুতে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের শোক
  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • ‎আবু সাঈদ হত্যা: ৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের আদেশ 
  • আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ৬ আগস্ট
  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা মোবারক
  • শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের আদালত চত্বরে অবস্থান, সড়ক অব
  • কিশোরগঞ্জে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • আবু সাঈদ হত্যা: ‘ঘটনাস্থলে ছিলেন না’ দাবি করে দুই আসামির অব্যাহতির আবেদন
  • দুদকের মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে