শরীয়তপুরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
Published: 3rd, August 2025 GMT
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে জামাল মাদবর (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ আগস্ট) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জামাল মাদবর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের বড় সন্দীপ এলাকার জব্বার মাদবরের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শিশুটি তার নানার বাড়ির কাছে একটি দোকানে চকলেট ও বিস্কুট কিনতে যায়। এ সময় দোকান বন্ধ ছিল। পরে সেখানে থাকা জামাল মাদবর আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
আরো পড়ুন:
ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ধামরাইয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে যৌতুকের চাপ সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা
আড়াইহাজারে পরকীয়া করে বিয়ে করে এক বছরের মাথায় বাবার বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে স্বামীকে টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়ায় বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহিনুর আক্তার শানু (৩০) নামে এক গৃহবধূ।
রোববার সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের কড়ইতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে । নিহত শানু ওই গ্রামের মৃত কাসেমের মেয়ে এবং গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ইদ্রিদ আলী ওরফে লবা এর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ৭ বছর আগে উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আলীর ওরফে লবা পার্শ্ববর্তী কড়ইতলা গ্রামের মৃত কাসেমের পরিবারের জমি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে শানুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ইদ্রিস আলীকে বিয়ে করে।
৩ বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য বনাবনি না হওয়ায় ডিভোর্স ও হয়ে যায়। তখন থেকে শানু তার পিত্রালয়ে বসবাস করতে থাকে ।
সম্প্রতি দুজনের মধ্যে আবার যোগাযোগ ও দেখা সাক্ষাৎ এবং পূণরায় সংসার করার কথাবার্তা চলছে। কিন্তু স্বামী লবা শানুকে পূণরায় ঘরে না তুলেই আবার তাকে বাবার বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে।
এ নিয়ে শনিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী লবা শানুকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। ফলে রোববার সকালে রাগে দূঃখে শানু তার পিত্রালয়ে বিষাক্ত ট্যাবলেট স্থানীয় ভাষায় কেড়ির বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে শানু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।