পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে লটারি পদ্ধতিতে ডিলার বাছাই করা হয়েছে। 

রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে লটারি পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটি। 

উপজেলা খাদ্য অফিস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন। তিনি ডিলার পদে আবেদন করা যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে উন্মুক্ত লটারি করেন এবং নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুন্নবী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া আহমেদ, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ প্রমুখ।

উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মোট ২৬টি পয়েন্টের বিপরীতে ডিলার পদে ১৭১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ভুলত্রুটির কারণে ১৯টি আবেদন বাতিল করা হয়। অবশিষ্ট ১৫২ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে লটারি হয় এবং ২৬ জন ডিলার নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য একজন করে মোট ২৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, লটারির মাধ্যমে ডিলার নির্বাচন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পদ্ধতি। এতে জনবিশ্বাস অর্জন হয় এবং অনিয়মের সুযোগ থাকে না। মূলত নিরপেক্ষতার জন্য এই লটারির আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরাও লটারির স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশংসা করেছেন।
নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা খুব শিগগিরই সরকার নির্ধারিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ