ইয়েমেন উপকূলে শরণার্থী ও অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, অর্ধশতাধিক মরদেহ উদ্ধার
Published: 4th, August 2025 GMT
ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৫৪ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত আবিয়ান প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জাঞ্জিবারের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আবদুল কাদের বাজামিল রোববার জানান, উদ্ধারকারী দল সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের স্থানীয় শাকরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আবিয়ান প্রদেশের শাকরা উপকূলে আরব সাগরে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। নৌকাটিতে প্রায় ১৫০ আরোহী ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক।
বাজামিল জানান, শহরের নিকটবর্তী একটি এলাকায় নিহত ব্যক্তিদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান চলছে।
অভিবাসী ও শরণার্থীরা ইয়েমেন ও হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে নৌপথ ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথ হিসেবে পরিচিত। দুই দিক থেকেই বহু মানুষ এই পথ ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশ ছেড়ে পালানো ইয়েমেনিদের সংখ্যা এই পথে হঠাৎ বেড়ে যায়।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ফলে সহিংসতা কিছুটা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘদিনের চলমান মানবিক সংকট কিছুটা হলেও কমে আসে।
অন্যদিকে আফ্রিকার সংঘাতপূর্ণ দেশ, বিশেষ করে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে পালিয়ে আসা অনেকেই আশ্রয়ের সন্ধানে ইয়েমেনে যেতে চান। অনেকে ইয়েমেন হয়ে আরও উন্নত উপসাগরীয় দেশগুলোর দিকে যেতে চান। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ রুটটিকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে ব্যস্ত ও বিপজ্জনক’ অভিবাসন রুটগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইয়েমেন যাওয়ার জন্য লোহিত সাগর কিংবা এডেন উপসাগর পার হতে বিপজ্জনক ও জনাকীর্ণ নৌকায় করে মানুষকে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। এসব যাত্রা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ব্রুইনা-সিটির পুনর্মিলনীতে হলান্ডের দ্রুততম ‘ফিফটি’
ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ নাপোলি
ইতিহাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন গত জুনে। তারপর এবারই তাঁর প্রথম ফেরা বড় সাধের এই স্টেডিয়ামে। ম্যানচেস্টার সিটির দর্শকেরা তাঁকে নায়কের মর্যাদায় বরণও করে নিলেও কোথায় যেন একটা অতৃপ্তি থেকে গেল। কেভিন ডি ব্রুইনা এখন হতে পারেন প্রতিপক্ষ, তবু ম্যাচের মাত্র ২৬ মিনিটে তাঁর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সিটির দু-একজন সমর্থকদের মুখটা শুকনো দেখা গেল। ক্লাব কিংবদন্তিকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরা সম্মান দেখিয়েছেন, তবে মাঠে আরও কিছুক্ষণ দেখতে চেয়েছিলেন নিশ্চয়ই!
কৌশলগত কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডি ব্রুইনাকে। নাপোলি কোচ আন্তোনিও কন্তে অবশ্য তাতে হার এড়াতে পারেননি। বিরতির পর আর্লিং হলান্ড ও জেরেমি ডকুর গোল হজম করতে হয়। সিটির ২-০ গোলের এ জয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েন হলান্ড।
৫৬ মিনিটে তাঁর গোলটির উৎস সিটি মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। লব করে দারুণভাবে বলটা তুলে সামনে বাড়িয়ে দেন, হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৫০তম গোল তুলে নেন হলান্ড। সেটা আবার এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম। ৪৯ ম্যাচে ‘ফিফটি’ পাওয়া হলান্ড পেছনে ফেললেন রুদ ফন নিষ্টলরয়কে (৬২ ম্যাচ)।
ডকুর গোলটি দেখার মতো। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে গোল করার পথে নাপোলির তিন খেলোয়াড় মিলেও তাঁকে থামাতে পারেননি। সিটির এই দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আসলে একটি সুবিধার ফল। ২১ মিনিটে বক্সে হলান্ডকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন নাপোলি অধিনায়ক ও রাইট ব্যাক জিওভান্নি ডি লরেঞ্জো। এরপর ১০ জনে পরিণত হওয়া ইতালিয়ান ক্লাবটির ওপর চেপে বসে সিটির আক্রমণভাগ।
গোল করলেন জেরেমি ডকু