“দেশের আর্থিক খাত একসময় গভীর সংকটে নিমজ্জিত ছিল, যা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অদক্ষতা ও দুর্নীতির ফল। গত ১ বছরে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আর্থিক খাত ঘুরে দাঁড়ানোর পথ তৈরি হয়েছে। এখন আইসিইউ থেকে কেবিন পেরিয়ে আমরা বাড়ি ফিরেছি বললে ভুল হবে না।”

সোমবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের হলরুমে আয়োজিত জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

‘টাকা পে’ এর নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংকের পর্ষদ-পরিচালকদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন নীতিমালা

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আর্থিক খাতের সংস্কার রাতারাতি সম্ভব নয়। আর্থিক পরিবর্তনের জন্য সময় লাগে। আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান, প্রক্রিয়া এবং ব্যক্তি সব স্তরেই দুর্নীতি অব্যবস্থাপনা গেড়ে বসেছে। তবে কিছু সৎ ও দক্ষ মানুষের নেতৃত্বে পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছে। তাদের মাধ্যমেই আমরা সংস্কারের চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে আমরা আইসিইউ থেকে কেবিনে, আর কেবিন থেকে বাড়িতে ফিরেছি বললেও ভুল হবে না।”

তিনি বলেন, “আমরা অল্প সময়ের জন্য এসেছি। আমরা একটি পথচিহ্ন রেখে যাচ্ছি। আশা করি, পরবর্তী সরকার সেই পথ অনুসরণ করে অর্থনীতিকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করবে। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “জুলাই শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূল্যস্ফীতি এরই মধ্যে ৮ শতাংশে নেমেছে, শিগগির তা ৫ শতাংশে নামবে। ব্যাংক খাতে গুণগত পরিবর্তনে আমাদের অগ্রাধিকার হলো আমানতকারীদের নিরাপত্তা।”

তিনি বলেন, “নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ। খসড়া এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইনটি পাস হলে আর্থিক খাত একটি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলায় ফিরবে। ভবিষ্যতে যেন ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে নিশ্চয়তা মিলবে।”

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, “জুলাই আন্দোলকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি। শহীদের রক্তের ঋণ শোক প্রকাশে শোধ হবে না। তবে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সেই ঋণের কিছুটা হলেও মর্যাদা রক্ষা করা যাবে।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫ আগস্ট ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে ৮৫২ জন গেজেটভুক্ত শহীদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকগুলো মিলে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রায় ১৬ হাজার পরিবারের হাতে সম্মাননা ও উপহার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর থ ক খ ত

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে সব ব্যাংক 

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আগামীকাল ৫ আগস্ট সারা দেশে সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

সরকার ঘোষিত এই বিশেষ দিবস উপলক্ষে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগেই জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ৫ আগস্টকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করায় ব্যাংকসহ সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটির আওতায় এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ডিপার্টমেন্ট অব অব-সাইট সুপারভিশন’ গত ১৭ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। 

গত ২ জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতেও ছুটি নির্ধারণ করে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই তফসিলি ব্যাংকগুলোতেও ৫ আগস্ট ছুটি থাকবে।

ঢাকা/নাজমুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আগস্ট সংবাদপত্রে ছুটি
  • আর স্বপ্ন বা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়: তারেক রহমান
  • ‘শিক্ষকদের সম্মান না দিলে সে সমাজ এগোবে না’
  • ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে
  • ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি
  • এনসিপি ‘কিংস পার্টি’, তাদের দুজন সরকারে: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
  • ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে সব ব্যাংক 
  • ৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণমিছিল কর‌বে জামায়াত
  • বন নিধনের জন্য বন বিভাগও দায়ী: উপদেষ্টা