কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় অভিযান চালিয়ে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে ৪ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে র‌্যাব। আটক করা হয়েছে ৯ জনকে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।

আরো পড়ুন:

গজারিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, অভিযান

ইউএনওর বাসভবনে হামলা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

আটককৃতরা হলেন- মো.

আব্বাস উদ্দিন (৪৮), মো. আবু তাহের (৪২), মো. ফিরোজ (৩৮), মো. মোস্তাক আহাম্মদ (৪০), মো. নবী হোসেন (৩৮), মো. শাহাব উদ্দিন (৫৫), মো. সেলিম (৬৮), জাফর আলম (৬৩) ও আবুল কালাম প্রকাশ কালু (৭০)। তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।

সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক জানান, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান মাছ ধরার ট্রলারে কক্সবাজারে আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির সহায়তায় গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয়। বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি করা হলে তেলের ড্রামের ভেতর বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৪ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দ ট্রলারটির মালিক ও ইয়াবা চালানের মূলহোতা মো. বোরহান উদ্দিন। তার বাড়ি মহেশখালীতে। তিনি বর্তমানে পলাতক। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জব দ আটক

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক