উত্তরা ইপিজেডে সংঘর্ষ ও শ্রমিক নিহতের ঘটনায় সব কারখানা বন্ধ
Published: 3rd, September 2025 GMT
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। ২৩ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে তা ধীরে ধীরে অন্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী মাঠে নামলে সংঘর্ষ বাধে। এতে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হন, আহত হন অন্তত ১৫ জন। পরে বিকেলের দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরো পড়ুন:
সংঘর্ষে উস্কানিদাতা উদয় কুসুমের বিরুদ্ধে মামলা করেনি চবি প্রশাসন
চবিতে মডেল থানা স্থাপনের জন্য আবেদন
এ ঘটনার পর বুধবার ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘‘গতকালই জানানো হয়েছিল, বুধবার কোনো কারখানা খোলা থাকবে না। বিকেলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল থেকে কারখানাগুলো চালু থাকবে কি না।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ালেও সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান করে ইপিজেড চালু করা হোক।’’
আরেক বাসিন্দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরে কিছু শ্রমিক আন্দোলন করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’’
ঢাকা/সিথুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।