নীলফামারিতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে হাবিব নামে এক শ্রমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। এছাড়াও আরো অনেক শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নীলফামারী জেলার শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য শেখ মুজিবকে জানা ‘বাধ্যতামূলক’

বিভিন্ন দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধ

বিক্ষোভ সমাবেশে তারা ‘সেনাবাহিনী শ্রমিক মারে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘শ্রমিক মরে রাজপথে, ইন্টেরিম কি করে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শ্রমিক হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশ থেকে রাকিব রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “যখনই শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলা হয় তখন তাদের ছেঁটে ফেলা হয়। তারা তাদের অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়ালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলিবর্ষণ ও নির্যাতন করে। ফলে আমাদের একজন ভাই গতকাল নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

এ সময় তিনি ইন্টেরিম সরকারের কাছে শহীদ শ্রমিকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। 

সজিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শ্রমিক হত্যা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মতো এখনো কেন জনগণের টাকায় কেনা গুলি আমার ভাইদের উপর করা হচ্ছে? গতকালের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

রন্জন বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি যারা সচল করে রেখেছে, তাদের ওপর কিভাবে সরকারের পেটোয়া বাহিনী নির্মম নির্যাতন করেছে, তা আমরা দেখেছি। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় শোষক গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সবসময় তাদের ব্যবহার করে আসছে।”

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব ভাইকে হত্যা করা হয়ছে। সরকার সবসময় মালিক পক্ষকে গুরুত্ব দেয় আর শ্রমিকদের অবহেলায় ফেলে রাখে। শ্রমিকদের দাবি কখনোই অযৌক্তিক ছিল না। শ্রম আইন অনুযায়ী তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নেমেছিল।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের