ডাকসু: ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক
Published: 7th, September 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিন আল আমিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে, ডাকসুর ভোটারদের কাছে অযাচিত ভোট চেয়ে খুলনার এক ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হয়। এবার বেরোবি ছাত্রদল নেতার এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুবিতে সমাবর্তন ৭ ডিসেম্বর
জাকসু নির্বাচন: ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল আমিন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামে এক শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি ভোট চাইতে হাজির হন।
ভোট চাওয়ার ভিডিও আল আমিন নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেন। এরপর ওই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনায় একই ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হলে দ্রুতই ভিডিওটা ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়— মনোয়ারকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আল আমিন তার (মনোয়ার) নানির সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
এরপর ঢাবি শিক্ষার্থী মনোয়ারকে তার নানি বলছেন, “ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে (এসেছে), কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও।” এ সময় আল আমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন, “মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবে না, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।” এরপর আল আমিন ওই শিক্ষার্থীর মামার সঙ্গেও কথা বলতে বলেন।
মনোয়ারকে তার মামা বলেন, “শোনো, বাংলা কথা জিডা, বিএনপির প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে। হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে । আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা।”
এ সময় আল আমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, “মনোয়ার, তোমার বন্ধু-বান্ধব যারা আছে, ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।”
এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিন আল আমিন বলেন, “ভিডিওটি কিছুদিন আগের। তাছাড়া ঢাবি শিক্ষার্থী (ফোন কলে) মনোয়ার আমার কোচিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। ওর মামা আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওদের বাসায় আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নিয়ে কথা হয় এবং ওর মামা আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি, ওর নানি এবং ওর মামা কথা বলি, যা ছিল অত্যন্ত আনন্দদায়ক মুহূর্ত।”
তিনি বলেন, “এটি আবেগাপ্লুত হয়ে ভিডিও করে আমাদের এক ছোট ভাই। কিন্তু এই নির্ভেজাল বিষয়টিকে নিয়ে জাতীয়ভাবে নোংরামি শুরু করেছে একটি মহল।”
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদকে একাধিকবার অনলাইনে ও মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল ন ত ব শ বব দ য মন য় র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে নগরের আম্বরখানাস্থ বাসদ কার্যালয় থেকে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বাসদ নেতারা অভিযোগ করেছেন, সকালে নিয়মিত পাঠচক্র চলাকালে হঠাৎ পুলিশ কার্যালয় ঘেরাও করে নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল শিবির
বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ (শনিবার) ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা নগরে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গ্রেপ্তারদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে।’’
বাসদের সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর বলেন, ‘‘ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ (শনিবার) চৌহাট্টা থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। তবে সব শ্রমিককে তা জানানো সম্ভব হয়নি। সকালে শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন শ্রমিক জড়ো হন। কিন্তু কার্যালয়ে শুধু পাঠচক্র চলছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে।’’
এর আগে একই ইস্যুতে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ী এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকেও আটক করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। ওই সময় আনোয়ার হোসেন সুমনসহ কয়েকজন বামঘরানার রাজনীতিকও আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা ব্যাটারি রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তা মেনে নিতে রবিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। সেই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার একদিন আগে সিপিবির সুমন ও বাসদের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হলো।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সংঘাতের আশঙ্কায় রবিবারের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে শতাধিক রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা/নুর/বকুল