বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্র আহত
Published: 7th, September 2025 GMT
বন্দরে চাষকৃত পুকুর থেকে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্র আহত হয়েছেন। আহতরা হলো আক্তার সজল (৫২) ও তার ছেলে আজিজুল হাকিম (২৩)।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মধ্যে আক্তার সজলকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত আক্তার, সজলের ভাতিজা তানজিল বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন রাতে হামলাকারি ইমন ও তার ভাই সাঈদ তাদের মা শান্তা বেগমের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তানজিলসহ তার চাচা আক্তার সজল ও চাচাত ভাই আজিজুল হাকিমসহ অন্যান্য আরো ওয়ারিশন দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের পৈত্রিক পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
এর ধারাবাহিকতা গত শুক্রবার দুপুরে একই এলাকার ছবুল্লাহ মিয়ার ছেলে ইমন ছিপ দিয়ে চাষকৃত পুকুরে মাছ ধরলে ওই সময় অভিযোগের বাদী চাচাত ভাই আজিজুল হাকিম প্রতিপক্ষ ইমনকে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই সাঈদ ও মা শান্তা বেগম সহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন ধারালো ছুরি, বাশের লাঠি সোঠা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অভিযোগের বাদী চাচাত ভাই আজিজুল হাকিমের উপর অতর্কিত হামলা করে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলা ফুল্য জখম করে।
পরে তার ডাক চিৎকারে তার পিতা আক্তার হোসেন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা তাকেও বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ইমন বাদী চাচাত ভাইকে লক্ষ্য করে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপ দিতে গেলে ওই সময় অভিযোগের ৩ নং বিবাদী শান্তা বেগম ১ নং বিবাদী ইমনকে ফিরাতে গিয়ে হাতে কোপ লাগে।
আহতদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন উক্ত ব্যাক্তিদের সামনে বলে যে উক্ত বিষয়ে পুলিশি সহায়তা নিলে বা কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে আমার চাচাতো ভাইকে জীবনে শেষ করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আজ জ ল হ ক ম সন ত র স
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।