পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির একজন উদ্যোক্তা পর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

কারণ ছাড়াই বাড়ছে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার দর

যন্ত্রপাতি কিনবে মনোস্পুল ও মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স

এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা সৈয়দ মুনসিফ আলী তার হাতে থাকা ওই ব্যাংকের ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৫টি শেয়ারের মধ্যে থেকে ৩০ লাখ শেয়ার ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারমূল্যে বিক্রি করেছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজার দরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন সৈয়দ মুনসিফ আলী।

২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে আছে ৫৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৩৪। এর মধ্যে ৬০.

৪৭ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২.৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৬.৮৭ শতাংশ শেয়ার আছে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনআরব স উদ য ক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

একজন গ্রাহকের সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির আগেই ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াত চক্র। এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী মহিউদ্দিন আহমেদ, এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক মো. আরিফুর রহমান মিম এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী আল আমিন। আসামি আরিফুর রহমান মিমকে মতিঝিল এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় বেআইনিভাবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া ইউজার আইডিতে গোপনে প্রবেশ করে। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোন নম্বর এবং হিসাব নম্বর পরিবর্তন করে তারা অর্থ আত্মসাৎ করেন।

এজাহারে আরো বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনির ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার ব্যাংক হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের ৫০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। অবশ্য এই অর্থ উত্তোলনের আগেই তা আটকে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর মহাহিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুরের রানীগঞ্জ উপশাখার মো. আরিফুর রহমান মিমের অ্যাকাউন্টে নেওয়া হয়। টাকা জমা হওয়ার পরই ঢাকার দুটি শাখা থেকে তা নগদে তুলে নেওয়া হয়।

মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন জানান, চার আসামির মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তিনি পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

ঢাকা/নাজমুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
  • সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১