দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মা-বাবা, এসি বিস্ফোরণে পুড়লেন সবাই
Published: 20th, September 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে একই পরিবারের চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ তুহিনের শ্যালিকা ফারজানা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন, বোনের জামাই তাঁদের সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন লেগে যায়। তখন তাঁর বোনসহ অন্যরা অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে দিবাগত রাত দুইটার সময় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ তুহিন হোসেনের (৩৮) শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। তুহিনের স্ত্রী ইভা আক্তারের (৩০) পুড়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে তাঁদের সন্তান তানভীরের (৬ বছর) পুড়েছে ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া এ দম্পতির আরেক ছেলে তৌহিদের (৭ বছর) পুড়েছে শরীরের ৮ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে খানকা শরিফে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০
ময়মনসিংহ নগরের সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে একদল লোক সেখানে ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের সুতিয়াখালী বাজারে প্রায় ১৭ বছর আগে স্থানীয় উসমান গণি ফকির সরকারি জমিতে একটি ঘর তুলে ওই খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি ভক্তদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি ‘গণি ফকিরের আস্তানা’ নামে পরিচিত। প্রতি শুক্রবার রাতে সেখানে সামা-কাওয়ালি গানের আয়োজন করা হতো। সম্প্রতি একদল মুসল্লি এই অনুষ্ঠানকে ‘অসামাজিক’ আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুর করে কিছু মানুষ