গাজীপুরের কাশিমপুরে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি আওয়ামি লীগ নেতা  দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে ডেভিল দেলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে তাকে নিজ বাসা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার 

বিশেষ অভিযানে ১৭১১ জন গ্রেপ্তার

তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-অর্থ সম্পাদক। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমপুর থানা পুলিশ তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি, জমি দখল জিরানী বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি এবং জিরানি বাজারে সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান তৈরি করে ভাড়া দেওয়া ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বাসায় লুকিয়ে থেকে লোকজন দিয়ে অপকর্ম চালাচ্ছিলেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, জুলাই আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আটকের পর অসুস্থ হওয়ায় দোলোয়ার হোসেন বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন।

ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিরে এসেছে সবুজ কচ্ছপ

একসময় প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গ্রিন টার্টল বা সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, বিলুপ্তির উদ্বেগজনক শ্রেণি থেকে আবারও প্রকৃতিতে ফিরে আসছে এই কচ্ছপ। কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ফলে সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবুজ কচ্ছপ একসময় অনেক শিকার করা হতো। একসময় এদের মাংস ও আলংকারিক খোলার জন্য ব্যাপক শিকার করা হতো। মারাত্মকভাবে এদের সংখ্যা হ্রাস পায়। কয়েক দশক ধরে সুসংগঠিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে এদের আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি আইইউসিএন রেড লিস্টে সবুজ কচ্ছপকে বিপন্ন ন্যূনতম উদ্বেগজনক অবস্থার শ্রেণিতে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সাবাহর মেরিন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানী নিকোলাস পিলচার বলেন, সবুজ কচ্ছপ ফিরে আসার বিষয়টি প্রেরণাদায়ক বটে। সবুজ কচ্ছপ বৃহত্তম সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। এদের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের কারণে শরীরের চর্বি হালকা সবুজাভ হয়।

যুক্তরাজ্যের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ব্রেন্ডন গডলি বলেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার কারণে সবুজ কচ্ছপ আবারও প্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে। সামুদ্রিক কচ্ছপের ফিরে আসা মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। লাখ লাখ মানুষ নিরলসভাবে এদের সুরক্ষার জন্য কাজ করেছে।

সবুজ কচ্ছপ মূলত তৃণভোজী। শৈবাল ও সামুদ্রিক ঘাস খেয়ে জীবনধারণ করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। এদের দীর্ঘ দূরত্বে পরিযায়ী হওয়ার অভ্যাস আছে। সবুজ কচ্ছপের ফিরে আসা উৎসাহব্যঞ্জক হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলছেন। সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা এখনো আগের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রেইন আইল্যান্ডে এই প্রজাতি শংকার মুখে আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ