ভারতীয় বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। ‘চাপকে পিঠের ছাল তুলে দেব’—এখন আর তার চিরচেনা এমন সংলাপ শোনা যায় না। টুকটাক রুপালি পর্দায় দেখা গেলেও আগের মতো আর ব্যস্ততা নেই। ‘স্বার্থপর’ নামে একটি নতুন সিনেমায় অভিনয় করছেন রঞ্জিত মল্লিক। মজার ব্যাপার হলো—১৬ বছর পর কন্যা কোয়েল মল্লিকের সঙ্গে এক সিনেমায় অভিনয় করছেন এই বরেণ্য অভিনেতা। 

এ সিনেমায় একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন রঞ্জিত মল্লিক। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আফসোসের স্বর শোনা যায় তার কণ্ঠে। রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “এখন অনেক বাংলা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। ভালো ব্যবসাও করছে। কিন্তু সেই সব সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়! ‘স্বার্থপর’ সিনেমা অনেক দিন পর সেই স্বাদ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমার সময়ে যে ধরনের বাংলা সিনেমা হতো; সেখানে বাঙালির অন্দরমহলের নিটোল গল্প থাকত।”

আরো পড়ুন:

অসম বিয়ে: ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার

দিতিপ্রিয়ার অস্ত্রোপচার

ভাই-বোনের আইনি ঝঞ্ঝাট ‘স্বাথপর’ সিনেমার গল্পে তুলে ধরছেন পরিচালক অন্নপুর্ণা বসু। যৌথ পরিবারে আইনি জটিলতা লেগেই থাকে। রঞ্জিত মল্লিকও বনেদি পরিবারের সন্তান। এ বিষয়ে রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “কলকাতার বিশাল বনেদি পরিবার বললে যা বোঝায় সেটাই ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ি। আমার ছোটবেলায় ২০০ সদস্যের বাস ছিল সেখানে! অনেক বড় মহলবাড়ি। এক মহল দিয়ে আরেক মহলে চলে যাওয়া যেত। একসঙ্গে থাকার সুবাদে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হতো। কিন্তু সেই বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়াত না।” 

পারস্পরিক বিশ্বাস, ভরসা, ধৈর্য, সহনশীলতা তাদের প্রত্যেকের মধ্যে ছিল। মানিয়ে নেওয়া বা মেনে নেওয়ার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতেন মল্লিকবাড়ির সদস্যরা। এ তথ্য উল্লেখ করে রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “সে জন্যই মল্লিকবাড়ি আমাদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই ‘বাড়ি’। যেখানে নিরাপত্তা আছে, নিশ্চিন্ততা আছে, হৃদয়ের উষ্ণতাও আছে।” 

‘স্বার্থপর’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে রঞ্জিত মল্লিক উপলদ্ধি করেছেন, ভাই-বোনের আইনি জটিলতা তৈরি হলে তা কতটা মর্মান্তিক! এই উপলব্ধি থেকে ঈশ্বরের কাছে তার প্রার্থনা—“পরস্পরের প্রতি আস্থা, ভরসা, বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে, বিশ্বের সমস্ত ভাই-বোন যেন ভালো থাকেন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মির্জা আব্বাস, রিজভীসহ ১৬৭ জন

সাত বছর আগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ ব্যক্তি।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।

মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার সড়ক বন্ধ করে মিছিল করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর মামলাটি করা হয়। পল্টন থানায় মামলাটি করে পুলিশ। মামলায় মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অন্যদের আসামি করা হয়। মামলায় সম্প্রতি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। এতে মামলা থেকে ১৬৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মির্জা আব্বাসসহ অন্যদের মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

আরও পড়ুনমাকে ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিলেন মির্জা আব্বাসের ছেলে০৫ অক্টোবর ২০২৫

মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া অন্যদের মধ্যে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।

আরও পড়ুননির্বাচন সামনে রেখে আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন: মির্জা আব্বাস০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ