যারা শিবিরের বিরোধিতা করেছিল, তারা আজ ইতিহাস: শিবির সভাপতি
Published: 13th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘ছাত্রশিবিরের বিরোধিতা যারা করেছিল, তারা আজ ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। অনেকে নিষিদ্ধও হয়ে গেছে। তাদের প্ররোচনায় পড়ে একটি শ্রেণি এখনো ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করছে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি, যেন তারা সত্য উপলব্ধি করতে পারে।’’
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখা আয়োজিত ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ‘নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হবে
গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ না করলে আন্দোলনে সরকারকে বাধ্য করা হবে
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘তায়েফের ময়দানে শিশুদেরও নবী করিম (সা.
ভারতকে ইঙ্গিত করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ‘‘অতীতে পূজার সময় কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো, যেটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হতো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি। কিছু বিদেশি প্রচারণায় বলা হয়, আমরা সম্প্রীতি নষ্ট করি অথচ বাস্তবে তারা নিজেরাই ধর্মীয় বিদ্বেষে জর্জরিত।’’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘যারা ১৫ বছর ধরে দেশপ্রেমের কথা বলেছেন, তারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন, খুন ও গুমের রাজনীতি করেছেন। ছাত্রশিবির এমন দেশপ্রেমিক চায় না। আমরা এমন দেশপ্রেমিক তৈরি করতে চাই, যারা অন্যায়, জুলুম ও লুটপাটমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।’’
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘ছাত্রশিবির স্বপ্ন দেখায়, লক্ষ্য ঠিক করে দেয় এবং বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দেয়। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে যা কিছু করণীয়, তা করতে উৎসাহিত করে।’’
জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘‘ছাত্রশিবিরকে অনেক সময় নারী বিদ্বেষী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং ছাত্রশিবিরও নারীর অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি, হিন্দু ভাই-বোনসহ সমাজের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের পাশে থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি।’’
ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামানের সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাশেম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ দ ল ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
টকদইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে হিতে বিপরীত
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে টকদই খুবই সমাদৃত খাবার। ডায়েটে টকদই রাখলে একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যারা স্লিম থাকতে চান, তারা ব্রেকফাস্টে ওটসের সঙ্গে দই খান, আবার কেউ দুপুরে রায়তা বানিয়ে খান। টকদইয়ের সঙ্গে ভাত থেকে শুরু করে বাদাম, মধুর মতো বিভিন্ন নির্ভয়ে খাওয়া যায়। তবে তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
পেঁয়াজ
অনেকেই পেঁয়াজ দিয়ে রায়তা বানান। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। টকদইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেলে শরীর গরম হয়ে যায়। পেঁয়াজ ও টইদই একসঙ্গে খেলে এটি সহজে হজম হবে না। ত্বকেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
‘সঠিক চিকিৎসা নিলে স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচা সম্ভব’
আজ বিশ্ব ডিম দিবস
টক ফল
টকদইয়ের সঙ্গে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফল খাওয়া যায়। কিন্তু লেবুজাতীয় ফল একেবারেই খাওয়া চলে না। এমনকী যে সব ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ অত্যধিক বেশি, সেগুলো দইয়ের সঙ্গে খাবেন না। এতে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়।
দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
দুধ থেকেই দই তৈরি হয়। কিন্তু দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া যায় না। এই দুই খাবারেই প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে। দুধ ও দই একসঙ্গে খেলে বুক জ্বালা, পেট ব্যথা, গা গোলানোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই খাবার আলাদা খাওয়াই ভালো।
চা
খাওয়ার পরেই দই খাবেন না। এমনকি দই খাওয়া শেষ হলেই চায়ে চুমুক দেওয়া চলবে না। এতে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে পারে। বমি, পেট খারাপ হতে পারে। বদহজম এড়াতে চা ও দই একসঙ্গে খাবেন না।
ভাজাপোড়া খাবার
অনেকেই পরোটার সঙ্গে টকদই খান। এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই খেলে মারাত্মক অ্যাসিডিটি হয়। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে টকদই সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।
ঢাকা/লিপি