ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে ধূমপান ছাড়তে বললেন এরদোয়ান, কী জবাব পেলেন তিনি
Published: 14th, October 2025 GMT
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজে বের করতে মিসরে বিশ্বনেতাদের সম্মেলন চলার ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তাঁর ধূমপানবিরোধী অভিযানের এক নতুন নিশানা খুঁজে পেয়েছেন।
গতকাল সোমবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপকালে এরদোয়ান তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি মেলোনির ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে চান।
বার্তা সংস্থা ইহলাসে সম্প্রচারিত এক ভিডিও ফুটেজে মেলোনির উদ্দেশে এরদোয়ানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দেখলাম, আপনি উড়োজাহাজ থেকে নামছেন। আপনাকে দারুণ দেখাচ্ছিল। কিন্তু আপনার ধূমপানের অভ্যাস আমাকে ছাড়াতে হবে।’
এরদোয়ান ও মেলোনি যখন কথা বলছিলেন, তখন তাঁদের ঠিক পাশে দাঁড়ানো ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। এরদোয়ানের কথা শুনে মাখোঁ হেসে বলে ওঠেন, ‘এটা অসম্ভব’।
মেলোনি তখন বলেন, ‘আমি জানি, আমি জানি। আমি কারও ক্ষতি করতে চাই না।’
এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি বইয়ে বলেছিলেন, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধূমপানের বিষয়টি তাঁর জন্য সহায়ক হয়।
এরদোয়ান তুরস্ককে ধূমপানমুক্ত দেশ বানানোর অঙ্গীকার করেছেন। দেশজুড়ে ‘ধূমপানমুক্ত তুরস্ক’ নামের একটি প্রচারাভিযান চলছে। ধূমপানবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা, ধূমপান ছাড়ার জন্য সহযোগিতা করা, ধূমপান থেকে তরুণদের বিরত রাখতে ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আঙ্কারা।
গতকাল মেলোনি ও এরদোয়ান মিসরে লোহিত সাগরসংলগ্ন পর্যটন শহর শারম আল শেখে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন, দুই পক্ষের যুদ্ধের অবসান ও বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের পুনর্গঠন এবং এর শাসনব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ওই ‘শান্তি সম্মেলনের’ আয়োজন করা হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এরদ য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই: ৯ জন গ্রেপ্তার, ৫ লাখ টাকা উদ্ধার
ঢাকার সাভারে নগদ ২৫ লাখ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৭টি পে-অর্ডার ছিনতাইয়ে মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহিদুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৫ লাখ টাকা, একটি নোয়া মাইক্রোবাস, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত খেলনা পিস্তলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে মা-মেয়েকে মারধর, থানায় অভিযোগ
শ্রীনগরে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ডেলিকেট গার্মেন্টসের তিন কর্মকর্তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে তাদের কাছে থাকা ২৫ লাখ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৭টি পে-অর্ডার ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনার চাটমোহর থানার শহিদুল ইসলাম (৪২), শেরপুরের শ্রীবরদী থানাধীন ধাতুয়া গ্রামের সুমন মিয়া (৬৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার গাবুয়া গ্রামের ইদ্রিস (৪৮), মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার করতল এলাকার উজ্জ্বল (৪২), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানাধীন ভাটপাড়া গ্রামের মামুন আহম্মেদ মিন্টু (৫২), মাগুরার সদর থানার বাটাজোর গ্রামের ইউনুস বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), সাতক্ষীরার দেবহাটা থানাধীন গুরুগ্রাম এলাকার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে শামীম আহম্মেদ সবুজ (৩২), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার দক্ষিণ বড় মাচুয়া গ্রামের শাহাদাত (৬০) এবং শরীয়তপুরের সখিপুর থানার কানুন গো সাহেবের কান্দি গ্রামের মৃত নুরুল হক প্রধানের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (৩৭)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে সাভারের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নোয়া মাইক্রোবাসসহ প্রথমে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডাকাতির মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাভারের ফুলবাড়িয়ার ডেলিকেট গার্মেন্টস লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার পথে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ডাকাতরা তাদের নোয়া মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করার পাশাপাশি সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও পে-অর্ডারগুলো ছিনিয়ে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নামিয়ে দেয়।
২৬ সেপ্টেম্বর কারখানার একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল