ফেনীতে এক দলিল লেখকের প্রায় দুই কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

অভিযোগ ওঠা দলিল লেখকের নাম মীর মোহাম্মদ। তিনি ফেনীর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাবেক দলিল লেখক। মীর মোহাম্মদ সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড় মজলিশপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দলিল লেখক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মীর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, মীর মোহাম্মদ ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট দুদকের কাছে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৬ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। একই সময়ে তিনি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। যেটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য ১২ অক্টোবর দুদক বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা বা নতুন কোনো তথ্য উদ্‌ঘাটিত হলে তাও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দুদক নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহার ফেনী জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ফেনী আদালতে দুদকের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল না থাকায় এটি জেলা জজ আমলে নিয়ে বিচারকাজের জন্য নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের দুদকের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করবেন। এরপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মীর মোহাম্মদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে দলিল লেখকের প্রায় দুই কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’, দুদকের মামলা

ফেনীতে এক দলিল লেখকের প্রায় দুই কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

অভিযোগ ওঠা দলিল লেখকের নাম মীর মোহাম্মদ। তিনি ফেনীর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাবেক দলিল লেখক। মীর মোহাম্মদ সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড় মজলিশপুর গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দলিল লেখক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মীর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, মীর মোহাম্মদ ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট দুদকের কাছে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৭৬ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। একই সময়ে তিনি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন। যেটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ জন্য ১২ অক্টোবর দুদক বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা বা নতুন কোনো তথ্য উদ্‌ঘাটিত হলে তাও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দুদক নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহার ফেনী জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ফেনী আদালতে দুদকের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল না থাকায় এটি জেলা জজ আমলে নিয়ে বিচারকাজের জন্য নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের দুদকের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করবেন। এরপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মীর মোহাম্মদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ