ভোজ্যতেলের দাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানো প্রত্যাহারের দাবি বাম গণতান্ত্রিক জোটের
Published: 14th, October 2025 GMT
সয়াবিন ও পাম তেলের দাম এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। বাজারে চাল, ডাল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। তার ওপর নতুন করে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৬ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা এবং খোলা পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনের সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে।
গত এপ্রিলে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল এবং পাম অয়েলের দাম ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, ৫ মাসের ব্যবধানে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে মাশুল বাড়ানো প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের কথা না ভেবে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কথা চিন্তা করে একতরফাভাবে বন্দরের মাশুল (ট্যারিফ) ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। লাভজনক অবস্থায় থাকার পরও ট্যারিফ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত খুবই রহস্যজনক। একদিকে জনমত উপেক্ষা করে লাভজনক বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তারই অংশ হিসেবে বিদেশি কোম্পানিকে যাতে ট্যারিফ বাড়াতে না হয়, সে জন্য বিদেশি অপারেটরদের মুনাফার সুবিধা করে দিতেই ইজারার পূর্বে সরকারই ট্যারিফ বাড়ানোর এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন৪০ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বেড়েছে, কমানোর সুযোগ নেই: নৌপরিবহন সচিব১২ অক্টোবর ২০২৫বিবৃতিতে বলা হয়, এই ট্যারিফ বাড়ানোর প্রভাব পড়বে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে। ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে এবং এই বাড়তি মূল্য দেশের জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।
বিবৃতিতে বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশের বিচারও দাবি করেছেন বাম জোটের নেতারা। একই সঙ্গে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রসিদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী যৌথভাবে এ বিবৃতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুনসয়াবিনের দাম লিটারে ৬ টাকা ও পাম তেলে ১৩ টাকা বেড়েছে২১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নিশ্চিত আয়ের আশায় বিনিয়োগে ঝোঁক
বাণিজ্যিক আবাসন খাতে বিনিয়োগ এখন বেশ লাভজনক হয়ে উঠছে। আধুনিক ও উচ্চপ্রযুক্তির নান্দনিক নির্মাণশৈলীতে গড়া এসব স্থাপনায় একদিকে যেমন ক্রেতাদের নজর কাড়ছে; অন্যদিকে এসব স্থাপনায় বিনিয়োগ করে সবচেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ভাড়া থেকে আয় করছেন অর্ধেকের বেশি ক্রেতা। আর অফিস কিংবা অন্য ক্রেতাদের নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাকি অংশ বিক্রি হচ্ছে।
বিনিয়োগে লাভজনক স্থাপনাদীর্ঘ মেয়াদে নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের নজর এখন বাণিজ্যিক স্থাপনায়। ভালো বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে অনেকেই এখন এই স্থাপনা কিনে ভাড়া দিয়ে আয় করছেন। ফলে আগের চেয়ে ক্রেতা বৃদ্ধিতে বাণিজ্যিক স্থাপনা লাভজনক হয়ে উঠছে। নতুন নতুন প্রকল্প নিচ্ছে আবাসন নির্মাতা কোম্পানি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই খাতে ক্রেতাদের অর্ধেকের বেশি হচ্ছেন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী। বাকি অংশ কিনছে ব্যাংক, করপোরেট অফিস এবং বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
বাণিজ্যিক স্থাপনা এখন ভাড়াকেন্দ্রিক আয়ের সবচেয়ে নিশ্চিত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একদিকে করপোরেট ও বহুজাতিক সংস্থার প্রবৃদ্ধি, অন্যদিকে ই–কমার্স ও স্টার্টআপের বিস্তার—দুটি কারণেই শহরভিত্তিক অফিস স্পেসের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ভাড়ার হার ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা একাধিক ইউনিট কিনে আয়ের পরিকল্পনা করছেন।
ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলোও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তারা বলছে, যেসব এলাকায় করপোরেট চাহিদা বেশি—গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, উত্তরা ও পূর্বাচল—সেসব অঞ্চলে সুপরিকল্পিত কমপ্লেক্স ও সুউচ্চ ভবনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেশের বাণিজ্যিক স্থাপনার মূল্য ২০২৫ সাল শেষে ৭৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিস্টা মার্কেট ইনসাইটস।
চাহিদায় বড় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স ও সুউচ্চ ভবনশেখ রবিউল হক