৫ দাবিতে নওগাঁয় জামায়াতের মানববন্ধন
Published: 15th, October 2025 GMT
পাঁচ দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নওগাঁ শরিশাহাটি মোড় থেকে কাজীর মোড় পর্যন্ত সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের পাঁচ দাবি হলো- গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আরো পড়ুন:
কয়েকজন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছে
জামায়াতের ধারণা তারা ক্ষমতায় গেছে: দুলাল
এর আগে, শহরের মুক্তির মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জামায়াত। এতে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ.
ঢাকা/সাজু/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বজনদের ফেরত দিন, না পারলে জড়িতদের বিচার করুন
ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা পিন্টু গুম হওয়ার পর এক যুগ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো তাঁর কোনো খোঁজ নেই। তাঁর বোন রেহানা পারুল বলেন, ভাই কোথায় তা তাঁরা জানতে চান। এ বিষয়ে গুম কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল কেন কিছু বলছে না—তার উত্তর চান তিনি।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার দাবিতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলো কথা বলে। ওই মানববন্ধনে পিন্টুর বোন রেহানা পারুল এ কথা বলেন।
গুমের শিকার খালেদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা শারমিন সুলতানা পরিচয় দিতে গিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাঁর পরিচয় দাঁড়িয়েছে গুম খালেদের স্ত্রী হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এক যুগ ধরে ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেলাম। গুম কমিশন হলো। কিন্তু তারা আমাদের কোনো খবর দেয় না।’
সৈয়দা শারমিন সুলতানা আরও বলেন, তিনি চান না তাঁর সন্তান এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বাবার খোঁজ চাইবে। এই বিচার প্রহসনের। এসব ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আলাদা করে রাখা হচ্ছে। বৈষম্য থেকেই গেল।
আদিবা ইসলামের ছোট ভাই তার বাবা পারভেজ হোসেনের মুখ দেখেনি। সে জানে না বাবা কেমন, বাবার আদর কেমন। আদিবা বলে, এভাবে দাঁড়াতে দাঁড়াতে তারা ক্লান্ত। তারা বাবাকে ফেরত চায়। ফেরত দিতে না পারলে বিচার চায়, কিন্তু তা–ও হচ্ছে না।
শাহরিয়ার কবির রাতুলের বাবা ও দাদাকে একসঙ্গে গুম করা হয়। তিনি বলেন, বাবার নাম লিখতে গেলে জানেন না কী লিখবেন। বাবা মৃত না জীবিত, তা–ও জানেন না। কী লিখতে হবে, দেশ কি তাঁকে এই উত্তর দেবে?
শাহরিয়ার কবির বলেন, গুম কমিশন এখন পর্যন্ত অন্ধকারে রেখেছে। যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের নিয়ে তারা ব্যস্ত।
গুমের শিকার কাজী ফরহাদের স্বজন আমানুল হক আমান বলেন, স্বাধীন হওয়ার পরও তাঁদের রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। তাঁরা সংখ্যা জানতে চান না। গুম কমিশন শুধু আয়নাঘর আর যাঁরা ফিরে এসেছেন, তাঁদের কথা বলছে। কিন্তু যাঁরা ফিরে আসেনি, তাঁদের কথা বলে না।
‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এই মানববন্ধনে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার দাবিতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–সংলগ্ন হাইকোর্ট ভবনের প্রধান গেটের সামনে