নয় মাসে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের মুনাফা কমেছে ৩.৯৭ শতাংশ
Published: 15th, October 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ও নয় মাসের (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয় মাসের প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৩.
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
নতুন পাবলিক অফার রুলসের খসড়া অনুমোদন বিএসইসির
‘আইএফআইসি শ্রীপুর বন্ডের’ তহবিল ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম তদন্তে বিএসইসি
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৫২ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৫ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.০৭ টাকা বা ১৫.৫৬ শতাংশ।
এছাড়া, চলতি হিসাববছরের নয় মাস বা তিন প্রান্তিক মিলে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৪৫ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.৫১ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ০.০৬ টাকা বা ৩.৯৭ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০.৩৩ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন ট র ল ইন স য র ন স ক ম প ন হ স ববছর র নয় ম স
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৫ সালে নোবেল পুরস্কার পেলেন যারা
এ বছর নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শেষ হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২৫ সালে যারা নোবেল পুরস্কার পেলেন তাদের নিয়ে বিস্তারিত রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
চিকিৎসাবিজ্ঞান
২০২৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং শিমন সাগাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স সম্পর্কিত মৌলিক আবিষ্কারের এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মাচাদো কি আসলেই শান্তিকামী?
৬ অক্টোবর এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেমব্লি। মেরি ই ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির গবেষক, ফ্রেড র্যামসডেল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিক্সের গবেষক এবং শিমন সাকাগুচি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন করে নিজের অঙ্গপ্রতঙ্গের ক্ষতি না করে জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়, সেই কৌশল উদঘাটনের স্বীকৃতিতে এই তিন গবেষক এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পেয়েছেন মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং শিমন সাগাগুচি
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেমব্লি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তাদের আবিষ্কার গবেষণার একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং নতুন চিকিৎসার বিকাশকে উৎসাহিত করেছে, উদাহরণস্বরূপ ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের জন্য।’
পদার্থবিজ্ঞান
২০২৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে তিন জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ৭ অক্টোবর সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্স এবারের বিজয়ী হিসেবে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিসের নাম ঘোষণা করেছে। তারা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক।
‘ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং ইলেকট্রিক সার্কিটে এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন’ আবিষ্কারের এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানে জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরেট এবং জন এম. মার্টিনিস নোবেল পেয়েছেন
রসায়ন
২০২৫ সালে রসায়নে তিন জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ৮ অক্টোবর সুইডিশ রয়েল একাডেমি অব সায়েন্স এবারের বিজয়ী হিসেবে জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুসুমু কিতাগাওয়া, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড রবসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওমর এম. ইয়াগির নাম ঘোষণা করে।
‘ধাতব জৈব-কাঠামো’ উন্নয়নের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত এই আণবিক কাঠামো এত বড় যে এর মধ্য দিয়ে গ্যাস ও তরল প্রবাহিত হতে পারে।
রসায়নে সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম. ইয়াগির নোবেল পেয়েছেন
সাহিত্য
২০২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাজনাহরকাইকে। ৯ অক্টোবর সুইডিশ একাডেমি তার নাম ঘোষণা করে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলেছে, আকর্ষণীয় এবং দুরদর্শী রচনার জন্য তাকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, তার লেখনি বৈশ্বিক ভয়াবহতার মধ্যে শিল্পের শক্তিকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
লাজলো ক্রাজনাহরকাই ডিস্টোপিয়ান ও বিষণ্ণতাময় উপন্যাসগুলোর জন্য খ্যাত। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে, সাটানট্যাঙ্গো, দ্য মেলানকোলি অব রেজিস্ট্যান্স। এগুলো পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার এবং ২০১৯ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেটেড লিটারেচার জেতেন।
হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাজনাহরকাই
শান্তি
ভেনিজুয়েলায় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিচল সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৫ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান দেশটির রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
১০ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার যাচ্ছে এক সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ শান্তির নেত্রীর কাছে। তিনি এমন এক নারী, যিনি ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যেও গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়ে রেখেছেন।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “ভেনেজুয়েলার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের নেতা হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদো লাতিন আমেরিকার নাগরিক সাহসিকতার অন্যতম অসাধারণ উদাহরণ।”
অর্থনীতি
২০২৫ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জোয়েল ময়কার, ফ্রান্সের ফিলিপ এজিওঁ এবং পিটার হাউইট। মূলত ‘উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য’ তাদের দুজনকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ১৩ নভেম্বর এই পুরস্কার ঘোষণা করে।
জোয়েল ময়কার যুক্তরাষ্ট্র ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক। ফিলিপ এজিওঁ ফ্রান্সের নাগরিক এবং তিনি কলেজ দে ফ্রান্স এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত। পিটার হাউইট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, প্রভিডেন্সের অধ্যাপক।
নোবেল কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, গত দুই শতাব্দীতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্ব দেখেছে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এর ফলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ, আর এর ওপরই গড়ে উঠেছে আমাদের সমৃদ্ধির ভিত্তি। এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী-জোয়েল ময়কার, ফিলিপ এজিওঁ ও পিটার হাউইট-দেখিয়েছেন, কীভাবে উদ্ভাবন আরো অগ্রগতির প্রেরণা জোগায়।
ফিলিপ এজিওঁ ও পিটার হাউইটও টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন। ১৯৯২ সালে তারা তৈরি করেন এক গাণিতিক মডেল, যার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয় ‘সৃষ্টিশীল ধ্বংস’ প্রক্রিয়াকে। অর্থাৎ, যখন কোনো নতুন ও উন্নত পণ্য বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় হার মানে। নতুন উদ্ভাবন তাই যেমন সৃষ্টিশীল, তেমনি ধ্বংসাত্মকও-কারণ এটি পুরোনো প্রযুক্তিকে অচল করে দেয়।
বিভিন্নভাবে এই নোবেলজয়ীরা দেখিয়েছেন, সৃষ্টিশীল ধ্বংসের এই প্রক্রিয়া সংঘাতও সৃষ্টি করে, যা গঠনমূলকভাবে সামলাতে হয়। অন্যথায়, বড় কোম্পানি বা প্রভাবশালী স্বার্থগোষ্ঠী নিজেদের ক্ষতির আশঙ্কায় নতুন উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
অর্থনীতিতে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জন হাসলার বলেন, “নোবেলজয়ীদের গবেষণা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়-অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয় কিছু নয়। আমাদের অবশ্যই সেই প্রক্রিয়াগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে, যা সৃষ্টিশীল ধ্বংসকে সম্ভব করে তোলে। তা না হলে আমরা আবার স্থবিরতার যুগে ফিরে যেতে পারি।”
তথ্যসূত্র: নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ, বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স
/এসবি/