পরিচালক আকিব আলী নির্মিত হিন্দি সিনেমা ‘দে দে পেয়ার দে’। সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, টাবু ও রাকুল প্রীত সিং। ২০১৯ সালের ১৭ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলেছিল সিনেমাটি।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নির্মিত হয়েছে ‘দে দে পেয়ার দে টু’। আকিব আলীর পরিবর্তে দ্বিতীয় পার্ট পরিচালনা করছেন অংশুল শর্মা। নির্মাতা বদলে গেলেও সিনেমাটিতে ৩৩ বছর বয়সি রাকুলের সঙ্গে ফের জুটি বাঁধবেন ৫৫ বছর বয়সি অজয়। তবে সিনেমাটিতে নেই টাবু। 

আরো পড়ুন:

অভিনেতা পঙ্কজ ধীর মারা গেছেন

মা হতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী?

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাঁকজমক আয়োজনের মাধ্যমে ‘দে দে পেয়ার দে টু’ সিনেমার ট্রেইলার মুক্তি দেন নির্মাতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অজয় দেবগন, আর.

মাধবন, রাকুল প্রীত সিং, জাভেদ জাফরি, মিজান জাফরি ও গৌতামী কাপুর। রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সুপারহিট এই সিনেমার সিক্যুয়েল ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। তবে ট্রেইলার মুক্তির পর একটি প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হয়েছে, তা হলো—“টাবু কোথায়?” 

‘দে দে পেয়ার দে’ সিনেমায় অজয় দেবগনের প্রাক্তন স্ত্রী ‘মঞ্জু মেহরা’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন টাবু। সিক্যুয়েলে তার অনুপস্থিতি ভক্তদের কৌতূহল বাড়িয়েছে। সকলেরই প্রশ্ন—“এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কি টাবু আর ফিরবেন না?” এই প্রশ্নের উত্তরে সহ-প্রযোজক লাভ রঞ্জন ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিনেমাটির ততৃীয় পার্টে টাবু হয়তো ফিরে আসতে পারেন। 

লাভ রঞ্জন বলেন, “আশা করি, সিনেমাটির তৃতীয় কিস্তি নির্মিত হবে। প্রথম পর্বে আমরা ছেলেটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয় পর্বে দুই পরিবারের দেখা হবে। 

প্রযোজক লাভ রঞ্জনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অজয় দেবগন বলেন, “সবকিছু যদি ঠিকঠাক চলে, আর যখন দুই পরিবার দেখা করবে, তখন ও (টাবু) এর অংশ হবে।” 

‘দে দে পেয়ার দে’ সিনেমার গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু হবে দ্বিতীয় পার্টের গল্প। এতে ২৬ বছর বয়সি আয়েশার প্রেমে পড়বেন ৫০ বছর বয়সি আশীষ। এ দুটো চরিত্রে অভিনয় করছেন অজয় ও রাকুল প্রীত সিং।  

এটি প্রযোজনা করছেন লাভ রঞ্জন, অঙ্কুর গার্গ, ভুষণ কুমার, কৃষ্ণ কুমার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অজয় দ বগন বছর বয়স ন অজয়

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে মারা গেলেন ৪ জন

ডেঙ্গুতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ৪ জন মারা গেছেন এডিস মশাবাহিত এই রোগে। এ সময় নতুন করে ৭৫৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু নিয়ে দেওয়া প্রাত্যহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আর একজন মারা গেছেন বরিশাল বিভাগে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে এই তিনজনের মৃত্যু হয়। আর বরিশাল বিভাগের রোগী মারা গেছেন বরগুনার পাথরঘাটার হাসপাতালে।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫৭ হাজার ১৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৪ হাজার ১১৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই পুরুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা।

এদিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তি ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর সংখ্যা ২০৬। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন গাজীপুর জেলায়, ৬৩ জন। ঢাকা বিভাগের বাইরে বরিশাল বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল, এ সংখ্যা ১৩৩।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। তবে চলতি অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাত ও অপর্যাপ্ত মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ