নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় একটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয় নান্নু কাজীকে। ঘটনাটি গত ২ আগস্ট, মাদারীপুর শহরের চৌরাস্তায়। প্রথমে তাঁকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ১৫ আগস্ট মারা যান।

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা আহত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আইন আছে। তবে নান্নু কাজীর ছেলে নাহিদ কাজী ৩ আগস্ট প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এ ধরনের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানেন না। এ জন্য আবেদন করেননি। এখন আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে কি না, তা জানতে চান।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, ক্ষতিপূরণ চালুর পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন মাত্র ১ দশমিক ৪২ শতাংশ ব্যক্তি। অথচ ক্ষতিপূরণের তহবিলে এখনো আড়াই শ কোটি টাকার বেশি জমা আছে।

তবে আইন অনুসারে, দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়। ফলে নান্নু কাজীর পরিবারের বেলায় সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে।

এভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, ক্ষতিপূরণ চালুর পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন মাত্র ১ দশমিক ৪২ শতাংশ ব্যক্তি। অথচ ক্ষতিপূরণের তহবিলে এখনো আড়াই শ কোটি টাকার বেশি জমা আছে।

দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়। কিন্তু অনেকেই তা না জানায় আবেদন কম।

ক্ষতিপূরণের আবেদন করার পর বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা পাননি, এমন ঘটনাও রয়েছে। টাঙ্গাইলের মুদিদোকানি সিরাজ মিয়া গত বছরের ১৫ অক্টোবর অটোরিকশা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ঘটনাটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোর্ডঘর এলাকায়। অটোরিকশা উল্টে গেলে তিনি গুরুতর আঘাত পান এবং হাসপাতালে মারা যান।

সিরাজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়োজনীয় সব দলিলসহ তাঁরা আবেদন করেছিলেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করার পর তাঁর ফোন নম্বর রেখে দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করবে বলে জানানো হয়। কিন্তু আর কেউ যোগাযোগ করেনি।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের উত্তরাধিকার ও আহতদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এই তহবিল পরিচালনা করে একটি ট্রাস্টি বোর্ড। এ আইনের বিধিমালা ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।

নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেলে ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা পাবে। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি পাবেন তিন লাখ টাকা। আহত কারও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তা তিন লাখ টাকা। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে পাবেন এক লাখ টাকা।

ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন কম লোকই

সড়ক আইনের বিধিমালা কার্যকরের দিন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ১৬২ জনকে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়।

বিধিমালায় ট্রাস্টি বোর্ড গঠন, তহবিল সংগ্রহ, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং তা বিতরণের পদ্ধতি সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেলে ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা পাবে। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ভুক্তভোগী ব্যক্তি পাবেন তিন লাখ টাকা। আহত কারও চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা না থাকলে আর্থিক সহায়তা তিন লাখ টাকা। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকলে পাবেন এক লাখ টাকা।

ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত হয় বিআরটিএ কার্যালয় থেকে। ট্রাস্টি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৮টি চেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪০৫ জন নিহতের পরিবার। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন ২৬৩ জন। সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ৭৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।

প্রতিবেদন দাখিলের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে ‘প্রাপকের হিসাবে প্রদেয়’ চেকের মাধ্যমে টাকা দেবে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব।

বিআরটিএর হিসাবে, ২০২৩ সাল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৪ হাজার ২৪৫ জন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৫ জন।

অবশ্য বেসরকারি হিসাবে সড়কে হতাহত আরও বেশি। দেশের বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা যান। আহত হন ১০ হাজারের বেশি। শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসাব করে দেশীয় সংস্থাগুলো। হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু এই হিসাবে আসে না। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মৃত্যু ৩১ হাজার ৫৭৮।

প্রচারের অভাবে মানুষ ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাইফুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তহবিলে টাকা আছে। ইউনিয়ন পর্যন্ত এর প্রচার করা দরকার। এমনকি আবেদনটি যাতে সরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়, সেটাও করা যায়। এরপর তহবিল বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে যানবাহন মালিকের কাছ থেকে চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ আছে।

ক্ষতিপূরণের বিষয়টি তিনি অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন। এ জন্য দুর্ঘটনার পরই হতাহতের বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিপূরণের ফরম দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রশাসকদেরও দ্রুত প্রতিবেদন দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকে আরও বেশি জানাতে শিগগিরই টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা নেবেন।বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ

প্রক্রিয়াগত জটিলতা

সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে, আর্থিক সহায়তা পেতে নির্ধারিত ফরমে দুর্ঘটনার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। অনুসন্ধান কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

প্রতিবেদন দাখিলের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ড আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে ‘প্রাপকের হিসাবে প্রদেয়’ চেকের মাধ্যমে টাকা দেবে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব।

দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের দাবি মীমাংসার জন্য রয়েছে ১২ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড। বিআরটিএর চেয়ারম্যান পদাধিকারবলে বোর্ডেরও চেয়ারম্যান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকেরা বোর্ডের সদস্য।

দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশের জন্য ১৪ সদস্যের স্থায়ী কমিটি রয়েছে। ঢাকার বাইরে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির প্রধান। বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক সদস্যসচিব। পুলিশ, পরিবহনমালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা সদস্য হিসেবে আছেন।

ভুক্তভোগী ও অধিকারকর্মীদের মতে, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা শোকের মধ্যে থাকেন। তাঁদের পক্ষে ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় কাগজ জোগাড় করে তা জমা দেওয়া কঠিন। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পর জেলা প্রশাসকেরও অনুমোদন নিতে হয়। এই দুই পদের কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে সময়মতো ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা কঠিন।

অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনার পর মামলা হয়। অন্ততপক্ষে পুলিশের নজরে আসে। তাই বিআরটিএ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন আবেদনের বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে এলে আরও বেশি মানুষ ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি তিনি অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন। এ জন্য দুর্ঘটনার পরই হতাহতের বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিপূরণের ফরম দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রশাসকদেরও দ্রুত প্রতিবেদন দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকে আরও বেশি জানাতে শিগগিরই টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা নেবেন।

এখন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে তাঁর কাছে ১২০টি চেক প্রস্তুত আছে।

শোকগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে সময়মতো দলিলাদি সংগ্রহ করে আবেদন করা একটি কঠিন কাজ। বিআরটিএ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। এ ছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ করতে হবে। দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সামছুল হক

তহবিলে টাকা আছে, খরচ কম

ট্রাস্টি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট পর্যন্ত তহবিলে জমা আছে ২৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এসব টাকা সব ধরনের যানবাহন মালিকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইনে ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত তহবিলের টাকা কোন কোন খাত থেকে আসবে, তার বিস্তারিত বলা আছে বিধিমালায়। খাতগুলো হলো সরকারের দেওয়া অনুদান, মোটরযানের মালিকের কাছ থেকে তোলা চাঁদা, সড়ক পরিবহন আইনের মাধ্যমে আদায় করা জরিমানার একটি অংশ, মালিক সমিতির অনুদান, শ্রমিক সংগঠন বা শ্রমিক ফেডারেশনের অনুদান, অন্য কোনো বৈধ উৎস থেকে পাওয়া অর্থ।

বিধিমালা অনুসারে, ট্রাস্টি বোর্ড তহবিলের একটি অংশ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। এই অর্থ দিয়ে সড়ক খাতের গবেষণার কথাও বলা হয়েছে। এর কোনো কিছুই এখনো শুরু করতে পারেনি ট্রাস্টি বোর্ড।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শোকগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে সময়মতো দলিলাদি সংগ্রহ করে আবেদন করা একটি কঠিন কাজ। বিআরটিএ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে। এ ছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব সহজ করতে হবে। দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব ভ ব ক জ বন দ র ঘটন র পর প রথম আল ক কর মকর ত পর ব র র আগস ট প ব আরট এ আরও ব শ র জন য স গ রহ ত র পর র পর ম গ রস ত পর চ ল ন হত ব সদস য তহব ল দশম ক শ সড়ক হত হত

এছাড়াও পড়ুন:

ছবিতে চুল দেখা না যাওয়ায় নাখোশ ট্রাম্প

টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিজের ছবি দেখে নাখোশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ছবিটিকে তিনি ‘সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ’ ছবি বলে মন্তব্য করেছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের ১০ নভেম্বর সংখ্যায় গাজা যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রচ্ছদে শিরোনামের সাথে প্রেসিডেন্টের একটি ছবি ছিল যা নীচে থেকে এবং মাথার পিছনে সূর্যের আলোয় তোলা হয়েছিল। এই ছবিটি দেখে তিনি নাখোশ হয়েছেন।

ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন , “টাইম ম্যাগাজিন আমার সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে ভালো গল্প লিখেছিল, কিন্তু ছবিটি সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে।”

তিনি বলেছেন, “তারা আমার চুল অদৃশ্য করেছে এবং তারপরে আমার মাথার উপরে এমন কিছু ভাসছিল যা দেখতে ভাসমান মুকুটের মতো ছিল, কিন্তু অত্যন্ত ছোট ছিল। সত্যিই অদ্ভুত! আমি কখনই নীচের কোণ থেকে ছবি তুলতে পছন্দ করিনি, তবে এটি একটি অত্যন্ত খারাপ ছবি, এবং এটি প্রকাশ করার অযোগ্য। তারা কী করছে এবং কেন?”

ট্রাম্পের পক্ষে এই ছবির সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য পরিচালক মারিয়া জাখারোভা।

টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, “এটা আশ্চর্যজনক: এই ছবি নির্বাচন করেছে তাদের মানসিকতা সম্পর্কে অনেক বেশি প্রকাশ করে, এর মধ্যে থাকা ব্যক্তির চেয়ে। কেবল অসুস্থ মানুষ, বিদ্বেষ এবং ঘৃণায় আচ্ছন্ন মানুষ - এমনকি বিকৃত ব্যক্তিরাও - এই ধরনের ছবি বেছে নিতে পারেন। একই প্রকাশনা প্রচ্ছদে বাইডেনের প্রশংসাসূচক ছবি ব্যবহার করেছে, তার শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, গল্পটি কেবল সময়ের জন্য আত্ম-অপরাধী।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ