রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বুথ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকেই শুরু হয়েছে বুথ প্রস্তুতের কাজ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বুথ স্থাপন।

আরো পড়ুন:

১৭ ঘণ্টার মধ্যেই রাকসুর ফল প্রকাশ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

রাকসু: শীর্ষ তিন পদের প্রার্থীরা যেখানে ভোট দেবেন

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশন। 

মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবন, ড.

মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলাভবন, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, জাবির ইবনে হাইয়ান একাডেমিক ভবন, জামাল নজরুল একাডেমিক ভবন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন, জগদীশচন্দ্র একাডেমিক ভবনের দুটি করে কেন্দ্রে এবং জুবেরী ভবনের একটি কেন্দ্রসহ মোট ১৭টি কেন্দ্রের ৯৯০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ভোটগ্রহণ শেষে রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে ভোট গণনা এবং কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ২ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজউদ্দিন একাডেমিক ভবনে সমাজকর্ম বিভাগের ১৫৬ নম্বর কক্ষে ভোট দেবেন মন্নুজান হলের ভোটাররা, ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনে ভোট দেবেন দুইটি হলের ভোটাররা। এদের মধ্যে ভবনের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করে ১২৮ নম্বর কক্ষে জুলাই-৩৬ হল এবং দক্ষিণ-পূর্ব গেট ব্যবহার করে ১২২ নম্বর কক্ষে ভোট দেবেন রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা।

রবীন্দ্র ভবনে ভোট দেবেন তিনটি হলের ভোটাররা। পূর্ব-মধ্য গেট দিয়ে প্রবেশ করে ভবনের ১৪৬ নম্বর কক্ষে তাপসী রাবেয়া হল, পূর্ব-দক্ষিণ ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ভবনের ১১৯ নম্বর কক্ষে বেগম খালেদা জিয়া হল এবং দক্ষিণ পশ্চিম ফটক ব্যবহার করে ভবনের ১২৩ নম্বর কক্ষে রহমতুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীরা ভোট প্রদান করবেন।

এদিকে জাবির ইবনে হাইয়ান বিজ্ঞান ভবনে ভোট দেবেন দুটি হলের ভোটাররা। ভবনের ১৩৩ নম্বর কক্ষে শহীদ হবিবুর রহমান হল এবং ১০১ নম্বর কক্ষে শহীদ শামসুজ্জোহা হল। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলা ভবনে বাংলা বিভাগের ১৫০ নম্বর গ্যালারি কক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা।

জামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞান ভবনের সিএসএলের ১২৫ নম্বর কক্ষে বিজয়-২৪ হল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফটক ব্যবহার করে ১১৬ নম্বর কক্ষে নবাব আব্দুল লতিফ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।

সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ১৩৩ নম্বর কক্ষে শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল এবং ২০৮ নম্বর কক্ষে মতিহার হল, জগদীশ চন্দ্র একাডেমিক ভবনের টিচার্স লাউঞ্জে মাদার বখশ হল এবং ১০৫ নম্বর কক্ষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ভোটাররা ভোট দেবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের পূর্ব হল রুমে সৈয়দ আমীর আলী হল এবং পশ্চিম হল রুমে শাহ মখদুম হলের ভোটগ্রহণ চলবে।

এবার রাকসুতে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। এছাড়া বাকি ২০টি পদে ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রার্থী এবং হল সংসদ নির্বাচনের ১৫টি পদের বিপরীতে ১৭টি হলে মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।

পুনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র শ ক ষ র থ র এক ড ম ক ভবন জন প র র থ ভবন র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা বিভাগ বনাম ইংরেজি বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। ম্যাচে ইংরেজি বিভাগকে ৪- ১ গোলে হারিয়ে বাংলা বিভাগ জয়লাভ করে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

আরো পড়ুন:

হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বাংলাদেশ

পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “খেলোয়াড় সুলভ আচরণের মাধ্যমেই খেলা সম্পন্ন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সুষ্ঠুভাবে খেলা সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের দল গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে।”

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “খেলাধুলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা ভালো খেলবে, ভালো খেলা দেখবে। খেলাধুলার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মন হয় বড়, মানসিকতা হয় উন্নত। আর সেই মনোভাব যেন মাঠে প্রতিফলিত হয়।”

তিনি বলেন, “সৌহার্দ্যের জন্য খেলা, বন্ধুত্বের জন্য খেলা, বিরোধিতার জন্য নয়। খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে খেলা সম্পন্ন করে এবং মাঠে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খেলা চালিয়ে যায়।”

এবারের টুর্নামেন্টে ১৯টি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ