সৌরজগতে থাকা রহস্যময় বস্তু নিয়ে কৌতূহল
Published: 15th, October 2025 GMT
সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুটির বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই রহস্যময় বস্তু কক্ষপথের নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেডনয়েড নামের বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত বস্তুটি নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।
তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন। বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না। এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটি প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে। অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায় বিজ্ঞানীদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে। তারা নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। অন্য কোনো শক্তি বহু বছর আগে এদের দূরে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হয়।
অ্যামোনাইট আবিষ্কারের ফলে সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত হলো। প্রতিটি বস্তুই সৌরজগতের বাইরের অংশের গঠন ও বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে, সেই ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ইয়িং-টুং চেন বলেন, অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।
সূত্র: আর্থ ডটকম
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য ম ন ইট স রজগত র বস ত ট
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে
মহাকাশ মানেই রহস্যের শেষ নেই। আর তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচন করতে আগ্রহী নাসা। সংস্থাটির তথ্যমতে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু সৌরজগতের সৃষ্টি রহস্যের সূত্র ধারণ করছে। চিরস্থায়ী অন্ধকারে থাকা দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের তেমন বিস্তারিত কোনো তথ্য না থাকায় আর্টেমিস অভিযানের মাধ্যমে সেখানে বরফ ও অন্যান্য হিমায়িত উদ্বায়ী পদার্থ শনাক্তে অনুসন্ধান করা হবে। এর ফলে পৃথিবীতে কীভাবে পানি এসেছে তা নিয়ে নতুন তথ্য জানার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
কয়েক দশক ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরু আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে রহস্যময় ও অনাবিষ্কৃত স্থান হিসেবে আলোচিত। পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সূর্যালোকে আলোকিত সমভূমির বিপরীতে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি চিরস্থায়ী অন্ধকারে ঢাকা থাকে। আর তাই সেখানে চাঁদের প্রাথমিক ইতিহাসের বিভিন্ন নমুনা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাসার আসন্ন অভিযানে বরফ ও অন্যান্য হিমায়িত উদ্বায়ী পদার্থের উপস্থিতি নিশ্চিত করা ছাড়াও সৌরজগতের গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে।
আরও পড়ুনচাঁদ আসলে কী২৮ ডিসেম্বর ২০২৪নাসার তথ্যমতে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু এ পর্যন্ত অন্বেষণ করা অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে ভিন্ন। সেখানের শ্যাকলটন, হ্যাথ ও ফস্টিনি নামের খাদে সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। এর ফলে সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসে। সেই অন্ধকারে পানি, কার্বন ডাই–অক্সাইড, অ্যামোনিয়া ও মিথেনের মতো উদ্বায়ী পদার্থ অক্ষত অবস্থায় থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিভিন্ন হিমায়িত পদার্থ প্রাচীন ধূমকেতু ও গ্রহাণুর মাধ্যমে চাঁদে জমা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি দীর্ঘমেয়াদি বাসস্থান ও গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে নাসার আর্টেমিস বেস ক্যাম্প।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনপৃথিবী থেকে চাঁদের অন্য পাশ দেখা যায় না কেন০২ মে ২০২৫