জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাথে জাপা নেতাদের সাক্ষাৎ
Published: 15th, October 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করাসহ দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জার্মান দূতাবাসে এই আলোচনা হয়।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন ডেপুটি হেড অফ মিশন আঞ্জা কার্স্টেন এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা শার্নিলা কবির।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা বলেন, “আজ (বুধবার) জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। আমাদের দলের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।”
তিনি দাবি করেন, “আলোচনাটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৯ সালে জার্মানিতে রাষ্ট্রপতি রিচার্ড ভন ওয়েইমারের সাথে তার সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন, যখন তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তার প্রচেষ্টা সম্পর্কেও অবহিত করেছেন ব্যারিস্টার আনিস।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে রেললাইনে শুয়ে ‘ডাবল রেলপথ’ ও নতুন ট্রেন চালুর দাবি
সিলেটের রেললাইনে শুয়ে সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল লাইন করার দাবি জানিয়েছেন একদল মানুষ। পাশাপাশি কর্মসূচি থেকে নতুন ট্রেন চালুরও দাবি জানানো হয়।
আজ বুধবার বেলা তিনটায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রেলগেটে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিলেটের সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা। সেখানে নাগরিক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ভোগের কারণে এখন যাত্রীরা রেলপথে কিছুটা স্বস্তি খোঁজেন। রেলপথে যাতায়াতের জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু এ পথে ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। রেলের টিকিট ১০ দিন আগেই বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু বিক্রি শুরুর দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই হাওয়া হয়ে যায়। রেলের টিকিট সিন্ডিকেট হচ্ছে। কালোবাজারে দিগুণ থেকে তিন–চার গুণ দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কথা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এতে যাত্রীদের প্রশ্ন থেকে যায়, রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো যোগসাজশ ছাড়া টিকিট কেমন করে নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়।
সিলেটকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা দ্রুত সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল লাইন করা, সিলেট-ঢাকার রেলপথে নতুন ট্রেন সংযোজন, সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে বিরতিহীন নতুন ট্রেন চালু, ট্রেনের মানোন্নয়ন, সিলেট-ছাতক রুটে পুনরায় ট্রেন চালু, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন ও সিলেটের সঙ্গে চলাচলকারী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার দাবি জানান।
কর্মসূচিতে সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সিলেট-ঢাকা রেলসেবার উন্নতি এবং নতুন রেল যুক্ত করা না হলে রেলের ইঞ্জিনের সামনে শোয়া কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান।