জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত হাসান হাফিজ
Published: 15th, October 2025 GMT
প্রেম, দ্রোহের পাশাপাশি কবিতার পংক্তিতে কবি হাসান হাফিজ চিত্রিত করেছেন রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অসঙ্গতি। আর ধারালো কলমের খোঁচায় গণমাধ্যমে অব্যাহত রেখেছেন নিজের সংবাদ প্রবাহের শৈল্পিকতা। সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার সৃজনশীল এই দুই মাধ্যমেই স্বপ্রতিভ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিদগ্ধ এই কবি ও সাংবাদিক।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বরেণ্য এই কবি ও সাংবাদিকের ৭১তম জন্মদিন। ফুলেল শুভেচ্ছা, কথামালা, প্রকাশনা অনুষ্ঠান, সংগীত ও কবিতার মধ্য দিয়ে জন্মদিনে হাসান হাফিজকে সিক্ত করেছে গণমাধ্যম, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
আরো পড়ুন:
শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব
ধামরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ
বিনোদন সাংবাদিকদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এর আয়োজনে এদিন বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বাচসাসের সিনিয়র সদস্য হাসান হাফিজের জন্মদিনের বর্ণাঢ্য এই আয়োজন।
সুহৃদ, স্বজন ও সহকর্মীদের কেক কাটার মধ্য দিয়ে আয়োজনের সূচনা ঘটে। এরপর বাচসাসের পক্ষ থেকে হাসান হাফিজকে শুভেচ্ছা স্মারক ও বাচসাসের মাসিক প্রকাশনা ‘বাচসাস ভয়েস’ প্রদান করে সংগঠনটির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ।
অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী, আয়োজক সংগঠন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, মহিলা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইশরাত জাহান স্বর্ণা, বাচসাস পরিবার সদস্য এম এ রহিম রনো।
তাছাড়াও শুভেচ্ছা জানান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন, কূটনীতিক মাসুদ মান্নান, সরগম সম্পাদক কাজী রওনক হোসেন, রেজানুর রহমান, ডিইউজে নেতা এরফানুল হক নাহিদ, প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ, বিতার্কিক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, কবি লিলি হক, কবি সেলিনা শেলী, কবি জাকির আবু জাফর, কবি শাহীন রেজানুর, অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, আবিষ্কার প্রকাশনীর কর্ণধার দেলোয়ার হাসান, সূচীপত্রের স্বত্তাধিকারী সাঈদ বারী প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “সাহিত্যের মধ্য দিয়ে হাসান হাফিজ নিজেকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন৷ তার লেখা অনেক শিল্পমান সমৃদ্ধ। লেখনীর বাঁকে বাঁকে ও কবিতার পংক্তিতে তিনি যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন তা খুব কম কবিই পারেন। তার লেখার মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রের কারণে আমরা গর্বিত।”
কবি মোহন রায়হান বলেন, “হাসান হাফিজ তার মেধা দিয়ে, সাহিত্য দিয়ে আর প্রজ্ঞা দিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি এ দেশের মানুষের সকল আন্দোলনে অগ্রণী সৈনিক ছিলেন। অন্যায়ের সঙ্গে তাকে কখনো আপস করতে দেখিনি।”
কূটনীতিক মাসুদ মান্নান বলেন, “লেখালেখির পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সাংগঠনিক কাজে তিনি নিজেকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।”
দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে কাজী রওনক হোসেন বলেন, “হাসান হাফিজ ভাই শুধু কবি ও সাংবাদিক হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সিদ্ধহস্ত। আমি তার দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।”
রেজানুর রহমান বলেন, “একজন লেখক সবসময় কীভাবে সচল থাকেন এটার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ হাসান হাফিজ।”
সরকারি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী বলেন, “উনি একজন কাজপাগল সরল মানুষ। হাসান হাফিজ ভাই যাতে সরকারি স্বীকৃতি পান সেটাই সরকারের কাছে আমার দাবি।”
জন্মদিনের এমন আয়োজনে পুরো পরিবারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হাসান হাফিজ তার বর্তমানের এই অবস্থানের নেপথ্যে পরিবারের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরেন৷ অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে নিয়ে অনন্যা প্রকাশিত সংকলন গ্রন্থ ‘হাসান হাফিজ সত্তর সকালে’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন বরেণ্য কবিরা।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি খালি কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন মুহিন খান, আমীরুল মোমেনিন মানিক ও জেনস সুমন। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য কবি শামীমা চৌধুরী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ন বল ন প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত হাসান হাফিজ
প্রেম, দ্রোহের পাশাপাশি কবিতার পংক্তিতে কবি হাসান হাফিজ চিত্রিত করেছেন রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অসঙ্গতি। আর ধারালো কলমের খোঁচায় গণমাধ্যমে অব্যাহত রেখেছেন নিজের সংবাদ প্রবাহের শৈল্পিকতা। সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার সৃজনশীল এই দুই মাধ্যমেই স্বপ্রতিভ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিদগ্ধ এই কবি ও সাংবাদিক।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বরেণ্য এই কবি ও সাংবাদিকের ৭১তম জন্মদিন। ফুলেল শুভেচ্ছা, কথামালা, প্রকাশনা অনুষ্ঠান, সংগীত ও কবিতার মধ্য দিয়ে জন্মদিনে হাসান হাফিজকে সিক্ত করেছে গণমাধ্যম, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
আরো পড়ুন:
শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব
ধামরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ
বিনোদন সাংবাদিকদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) এর আয়োজনে এদিন বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বাচসাসের সিনিয়র সদস্য হাসান হাফিজের জন্মদিনের বর্ণাঢ্য এই আয়োজন।
সুহৃদ, স্বজন ও সহকর্মীদের কেক কাটার মধ্য দিয়ে আয়োজনের সূচনা ঘটে। এরপর বাচসাসের পক্ষ থেকে হাসান হাফিজকে শুভেচ্ছা স্মারক ও বাচসাসের মাসিক প্রকাশনা ‘বাচসাস ভয়েস’ প্রদান করে সংগঠনটির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ।
অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী, আয়োজক সংগঠন বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, মহিলা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইশরাত জাহান স্বর্ণা, বাচসাস পরিবার সদস্য এম এ রহিম রনো।
তাছাড়াও শুভেচ্ছা জানান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন, কূটনীতিক মাসুদ মান্নান, সরগম সম্পাদক কাজী রওনক হোসেন, রেজানুর রহমান, ডিইউজে নেতা এরফানুল হক নাহিদ, প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ, বিতার্কিক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, কবি লিলি হক, কবি সেলিনা শেলী, কবি জাকির আবু জাফর, কবি শাহীন রেজানুর, অন্য প্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, আবিষ্কার প্রকাশনীর কর্ণধার দেলোয়ার হাসান, সূচীপত্রের স্বত্তাধিকারী সাঈদ বারী প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “সাহিত্যের মধ্য দিয়ে হাসান হাফিজ নিজেকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন৷ তার লেখা অনেক শিল্পমান সমৃদ্ধ। লেখনীর বাঁকে বাঁকে ও কবিতার পংক্তিতে তিনি যেভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন তা খুব কম কবিই পারেন। তার লেখার মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্রের কারণে আমরা গর্বিত।”
কবি মোহন রায়হান বলেন, “হাসান হাফিজ তার মেধা দিয়ে, সাহিত্য দিয়ে আর প্রজ্ঞা দিয়ে লড়াই করেছেন। তিনি এ দেশের মানুষের সকল আন্দোলনে অগ্রণী সৈনিক ছিলেন। অন্যায়ের সঙ্গে তাকে কখনো আপস করতে দেখিনি।”
কূটনীতিক মাসুদ মান্নান বলেন, “লেখালেখির পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সাংগঠনিক কাজে তিনি নিজেকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।”
দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে কাজী রওনক হোসেন বলেন, “হাসান হাফিজ ভাই শুধু কবি ও সাংবাদিক হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি সিদ্ধহস্ত। আমি তার দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।”
রেজানুর রহমান বলেন, “একজন লেখক সবসময় কীভাবে সচল থাকেন এটার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ হাসান হাফিজ।”
সরকারি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালীন নোমানী বলেন, “উনি একজন কাজপাগল সরল মানুষ। হাসান হাফিজ ভাই যাতে সরকারি স্বীকৃতি পান সেটাই সরকারের কাছে আমার দাবি।”
জন্মদিনের এমন আয়োজনে পুরো পরিবারকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হাসান হাফিজ তার বর্তমানের এই অবস্থানের নেপথ্যে পরিবারের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরেন৷ অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে নিয়ে অনন্যা প্রকাশিত সংকলন গ্রন্থ ‘হাসান হাফিজ সত্তর সকালে’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাসান হাফিজকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন বরেণ্য কবিরা।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি খালি কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন মুহিন খান, আমীরুল মোমেনিন মানিক ও জেনস সুমন। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য কবি শামীমা চৌধুরী।
ঢাকা/শান্ত