মুসাপুর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর অপসারণ চেয়ে সংবাদ সসম্মেলন
Published: 15th, October 2025 GMT
বন্দরে মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ রিয়াদ হোসেন নামে জনৈক ভুক্তভোগী।
বুধবার বিকেলে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ হোসেন বলেন,প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আসসামুআলাইকুম। আপনাদের মাধ্যমে মুসাপুর ইউনিয়নবাসীর অবগতির জন্য বলতে চাই মঞ্জুর আলম একজন ধূর্ত প্রকৃতির প্রতারক।
তার মতো ব্যক্তি আর কিছুদিন মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদে থাকলে এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ পথে বসবে। ইতোমধ্যে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ডিসি,এসপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
আমি ওইসব অভিযোগে লিখেছি,মঞ্জুর আলম চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগী মনোয়ার মেম্বার,লাভলী মেম্বার ও দালাল দেলোয়ার উক্ত ব্যক্তিরা মিলে সাধারণ মানুষের জমিজমা নিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে প্রতারণা করছেন।
এর ফলে ইউনিয়নের প্রকৃত ওয়ারিশগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি আমার দাদা মৃত বাবর আলী তার মেয়ে কার্ত্তিক বেগম দেখিয়ে জাল সনদ করে,,, প্রকতপক্ষে মৃত বাবর আলীর ১/ দুদুমিয়া ও ২/ দুধ মেহের এই ২ জন ব্যক্তি ছাড়া আর কোন সন্তান ছিল না।
শুধু আমাদের ওয়ারিশ নিয়েই নয় এর আগে সে আরো শত শত মানুষের বিরুদ্ধে ভূয়া ওয়ারিশ দাড় করিয়ে অগণিত মালিকের সম্পত্তি গ্রাস করেছে। যার বেশকিছু ভূয়া ওয়ারিশের সনদ আমি উদ্ধার করেছি।
অতএব, অনুরোধ করছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিম গঠন করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রদান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলমকে সাময়িকভাবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কেনার আহ্বান
ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কিনতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। গত জুলাই ও আগস্টে ইউক্রেনে সামরিক সহযোগিতা অনেক কমে গেছে এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ আহ্বান জানালেন তিনি।
গতকাল বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে বৈঠকে বসার কথা জোটের সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের। সেই বৈঠকের আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি তখনই শান্তিতে থাকতে পারবেন, যখন আপনি নিজে শক্তিশালী। শক্ত শক্ত কথা বললে অথবা আঙুল নাড়ালে নয়—শান্তি আসে তখনই, যখন আপনার এমন বাস্তব ও দৃঢ় সক্ষমতা থাকে, যেটা প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা আদায় করে।’
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর গৃহীত কর্মসূচি পিইউআরএল-এ অর্থায়ন আরও বাড়াতে ন্যাটো মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেগসেথ। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো আরও বেশি দেশ আরও বেশি করে এতে অর্থায়ন করুক। চলমান সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাইলে এটা করতে হবে।এতে ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য আরও বেশি অস্ত্র কিনতে পারবে তারা।’
প্রসঙ্গত, পিইউআরএল কর্মসূচিতে পশ্চিমা দেশগুলো যে অর্থ দেয়, সেই অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনে সেগুলো দেওয়া হয় ইউক্রেনকে।
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তেও গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, পিইউআরএলের মাধ্যমে ইউক্রেনকে ২০০ কোটি ডলারের সহযোগিতা করবে এমন প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যে করেছে তারা। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রত্যাশার চেয়ে অর্থের পরিমাণ অনেকটাই কম। চলতি অক্টোবরের মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার অস্ত্র সহযোগিতা চেয়েছিলেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে গঠিত তহবিলে আরও অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা গতকাল জানিয়েছে সুইডেন, এস্তোনিয়া ও ফিনল্যান্ড। তবে কিয়েভকে সামরিক সহযোগিতা কমানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালি। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্রের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ইউক্রেন। এদিকে আরেকটি শীতও আসছে। এখন পশ্চিমা সামরিক সহযোগিতা দেশটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জার্মানির অলাভজনক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান দ্য কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনোমি। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, এই বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় জুলাই ও আগস্টে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা কমেছে ৪৩ শতাংশ।