চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’-এর বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, “এই বিজয় জুলাই যোদ্ধাদের, জুলাই শহীদদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজয়। আমরা সবাই জিতে গেছি, শিক্ষার্থীরাও জিতে গেছেন। শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সেই আস্থার প্রতিদান না দেওয়া পর্যন্ত আমরা থামছি না।”

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। 

জাহিদুল ইসলাম বলেন, “যারা নির্বাচনে আমাদের বিরোধিতা করেছেন, বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটিয়েছেন, বিভেদ সৃষ্টি করেছেন, আমরা তার সব ভুলে যাচ্ছি। কারো প্রতি আমাদের অনুযোগ নেই। সবাইকে নিয়ে সামনে এগোতে চাই।”

“আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ এখন শিক্ষার্থীদের জন্য। যেদিন আমাদের কমিটমেন্ট পূরণ করতে পারব, সেদিন আমাদের বিজয় পূর্ণতা পাবে”, যোগ করেন তিনি।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। ফজরের নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত দোয়ায় নেতারা জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের ইমিগ্রেশনে বাংলায় নির্দেশনা

চীনের গুয়াংঝুতে নেমেই চমক। তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। ইমিগ্রেশনের তরুণটির মুখে কোনো কথা নেই। কাগজ, মানে আমার পাসপোর্টই কথা বলছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পালা এল, দেখি যন্ত্র বাংলায় কথা বলছে। ‘আপনার ডান হাতের চার আঙুল চেপে ধরুন…’, ‘দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি এভাবে চেপে ধরুন।’ সামনের ট্যাবে ছবি দেখা যাচ্ছে আর বাংলায় নির্দেশনা শোনা গেল। যে দেশের পাসপোর্ট, সে দেশের ভাষায় এই যন্ত্র কথা বলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

বিষয়টা বেশ ভালো লাগল। হাইটেক দেশে এসেছি, এই বোধ দিয়ে শুরুটা হলো। বিমানবন্দরে দেখা গেল ষড়্‌ভুজাকৃতি ছোট ছোট বাক্স। সাদা রঙের, ভেতর থেকে নীল আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। এগুলো স্লিপিং পট। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি চার্জ করার ব্যবস্থা আছে। আর সঙ্গে শুয়ে থাকার সুবিধা। স্লিপিং পটে থাকা যায় ঘণ্টা হিসাবে। গুয়াংঝু বিমানবন্দরে ১৫টির মতো স্লিপিং পট আছে—ট্রিপ অ্যাডভাইজর এমনটাই জানাল।

আমরা চীনে এসেছি স্মার্টফোন নির্মাতা অনারের আমন্ত্রণে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার শেনজেনে তাদের প্রধান কার্যালয়, গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র দেখব। গতকাল বুধবার রাতে গুয়াংঝু থেকে শেনজেন আসার পথে রাতের খাবারের জন্য আমরা একটা রেস্তোরাঁয় থামলাম। রেস্তোরাঁর বাইরে একটা বুথের মতো। সেটার থাকে থাকে সারি সারি পাওয়ার ব্যাংক। যার যখন দরকার মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাবে। পরে অন্য কোনো স্টেশনে রেখে দেবে। যে সময়টুকু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করবে, সে সময়টার জন্য ভাড়া দিতে হবে। এখানে প্রযুক্তি ও আস্থার একটা ব্যাপার চোখে পড়ে। দুই বছর যাবৎ এই পাওয়ার ব্যাংক স্ট্যান্ড চীনে চালু হয়েছে।

বিওয়াইডি গাড়ি বেশি

সম্পর্কিত নিবন্ধ