রাজবাড়ীতে প্রভাষককে পেটালেন সহযোগী অধ্যাপক
Published: 16th, October 2025 GMT
রাজবাড়ী সরকারি কলেজে এক প্রভাষককে কলার ধরে টেনে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মারধরের অংশবিশেষ দেখা গেছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এ কে এম আজাদুর রহমান। অভিযুক্ত শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোস্তফা কামাল। তিনি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদকও।
প্রভাষক আজাদুর রহমান বলেন, “দুপুর একটার দিকে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও একই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিনকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার। এ ঘটনার পর কুতুব উদ্দিন অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি তার সঙ্গে ছিলাম। কুতুব অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যায়। এর মধ্যে মোস্তফা কামাল স্যার এসে আমাকে কলার ধরে টেনে নিচে নিয়ে গিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঘাড়, চোখ ও মুখে আঘাত লাগে। পরে সন্ধ্যায় আমি সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই, আমি মামলা করব।”
ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক কুতুব উদ্দিন বলেন, “দুপুরে পরীক্ষার ডিউটি চলাকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমির স্যার আমাকে হঠাৎ ধাক্কা দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। অভিযোগ লিখে প্রিন্ট করতে যাই। তখন মোস্তফা কামাল স্যার গিয়ে আজাদুর রহমানকে বলে, ‘এই আজাদ, এদিকে এসো’ এ কথা বলেই তিনি আজাদের কলার ধরে নাক-মুখে কিল ঘুষি দেন। ঠেকাতে গেলে বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও ঘুষি মারেন মোস্তফা কামাল স্যার। আজাদুর রহমানকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ওকে অনেক মারধর করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, “ওরা একজন শিক্ষককে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতেই আমি তাদের কাছে যাই। তখন আমার সাথেও আজাদুর খারাপ ব্যবহার করে। তাই কলার ধরেছি, তবে মারধর করিনি।”
কোন শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার বাড়ি খুলনা, এখানে চাকরি করে।”
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইকরামুল করিম বলেন, “আমি শুনেছি দুই শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।”
ঢাকা/রবিউল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আজ দ র রহম ন কল জ র ম রধর এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের ইমিগ্রেশনে বাংলায় নির্দেশনা
চীনের গুয়াংঝুতে নেমেই চমক। তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। ইমিগ্রেশনের তরুণটির মুখে কোনো কথা নেই। কাগজ, মানে আমার পাসপোর্টই কথা বলছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পালা এল, দেখি যন্ত্র বাংলায় কথা বলছে। ‘আপনার ডান হাতের চার আঙুল চেপে ধরুন…’, ‘দুই বৃদ্ধাঙ্গুলি এভাবে চেপে ধরুন।’ সামনের ট্যাবে ছবি দেখা যাচ্ছে আর বাংলায় নির্দেশনা শোনা গেল। যে দেশের পাসপোর্ট, সে দেশের ভাষায় এই যন্ত্র কথা বলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
বিষয়টা বেশ ভালো লাগল। হাইটেক দেশে এসেছি, এই বোধ দিয়ে শুরুটা হলো। বিমানবন্দরে দেখা গেল ষড়্ভুজাকৃতি ছোট ছোট বাক্স। সাদা রঙের, ভেতর থেকে নীল আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। এগুলো স্লিপিং পট। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি চার্জ করার ব্যবস্থা আছে। আর সঙ্গে শুয়ে থাকার সুবিধা। স্লিপিং পটে থাকা যায় ঘণ্টা হিসাবে। গুয়াংঝু বিমানবন্দরে ১৫টির মতো স্লিপিং পট আছে—ট্রিপ অ্যাডভাইজর এমনটাই জানাল।
আমরা চীনে এসেছি স্মার্টফোন নির্মাতা অনারের আমন্ত্রণে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার শেনজেনে তাদের প্রধান কার্যালয়, গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্র দেখব। গতকাল বুধবার রাতে গুয়াংঝু থেকে শেনজেন আসার পথে রাতের খাবারের জন্য আমরা একটা রেস্তোরাঁয় থামলাম। রেস্তোরাঁর বাইরে একটা বুথের মতো। সেটার থাকে থাকে সারি সারি পাওয়ার ব্যাংক। যার যখন দরকার মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাবে। পরে অন্য কোনো স্টেশনে রেখে দেবে। যে সময়টুকু পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করবে, সে সময়টার জন্য ভাড়া দিতে হবে। এখানে প্রযুক্তি ও আস্থার একটা ব্যাপার চোখে পড়ে। দুই বছর যাবৎ এই পাওয়ার ব্যাংক স্ট্যান্ড চীনে চালু হয়েছে।
বিওয়াইডি গাড়ি বেশি