রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট দিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে ২৫টি বাসে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন। ইতোমিধ্যে রাজশাহী শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে দুইটি বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও দুপুর ১২টা এবং ২টায় সর্বমোট ছয়টি ট্রিপে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে বাস। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাসগুলোর ব্যবস্থা করেছে। 

আরো পড়ুন:

রাকসুতে ৭০ শতাংশ ভোটারের আশা উপাচার্যের

রাকসু নির্বাচন: ছবিসহ ভোটার তালিকা দেখতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ছয়টি ধাপে শিক্ষার্থীদের হলে ও ভোটকেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকেই রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান থেকে বাসগুলো নির্ধারিত রুটে শিক্ষার্থীদের বহন করছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড.

মো. আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, “অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটে অংশ নিতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য আমরা ২৫টি বাস চালু করেছি। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আনা হচ্ছে ছয়টি ধাপে, যাতে ভিড় ও বিশৃঙ্খলা না হয়। বিকেল ৪টা থেকে সবাই আবার ফিরতে পারবেন। চারটা ও ছয়টায় দুইটি বাস ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গন্তব্যে যাবে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাকসু নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।

ঢাকা/ফাহিম, কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফল খারাপের কারণ পর্যালোচনা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল খারাপের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডাটাভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আববার। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এবারের ফল অস্বস্তিকর হলেও বাস্তবভিত্তিক। কেন এমন হলো, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডাটাভিত্তিক পর্যালোচনা করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ দায় এড়াতে পারে না।” 

তিনি আরো বলেন, “দেশে একটি ভুল সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, যেখানে ফলাফলের সংখ্যাই হয়ে উঠেছিল প্রধান মানদণ্ড। ফল ভালো দেখাতে গিয়ে শেখার সংকট আড়াল করার প্রবণতা আমরা বন্ধ করতে চাই।” 

তিনি জানান, পরীক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যেন ন্যায্যতা বজায় থাকে।

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল হক জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন এবং ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন।

ঢাকা/এএএম/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ