পিরোজপুরে কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন জামায়াত নেতা, পথে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত
Published: 16th, October 2025 GMT
পিরোজপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে জামায়াতের এক নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম মাসুম বিল্লাহ (৫০)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা ও শংকরপাশা ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, গতকাল বিকেলে পিরোজপুর শহরের টাউনক্লাব রোডে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জামায়াত। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ির অদূরে মাসুম বিল্লাহকে পেছন থেকে ঘিরে ধরে ১০ থেকে ১২ জন। এ সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন মাসুমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ হোসেন বলেন, মাসুম বিল্লাহর মাথায় গুরুতর জখম পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘পেছন থেকে আমার মাথার ওপর প্রথমে কোপ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মাথা থেকে রক্ত বের হওয়ার পরে এলোপাতাড়ি আরও দুটি কোপ দিয়েছে তারা। এটা পূর্বশত্রুতা ও পরিকল্পিতভাবে আমাকে আক্রমণ করেছে। আমি বিচার চাই।’
মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী আঁখি খানম বলেন, ‘আমি হামলাকারীদের চিনি, তারা একই এলাকার লোক। অনেক আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আমাদের জমিজমাসংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছে। আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছে তারা।’
এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষার দাবি মাহমুদুর রহমান মান্নার
ঢাকার খ্যাতনামা সাত সরকারি কলেজের ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এটা কোনো আলোচনাযর ব্যাপার নয় যে সাত কলেজের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। আমরা বরং বলি ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাত কলেজের ঐহিত্য ও স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। সাত কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে কলেজগুলোকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেগুলোর চেহারা যদি বদলে দেওয়া হয়, তাহলে ইতিহাস থেকে বিরাট একটি জায়গা মুছে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে স্মৃতি, সেটিকে মুছে ফেলার চেষ্টা অন্যায়। আরও কলেজ বানান, আরও বিশ্ববিদ্যালয় বানান। আরও তো দরকার আমাদের কিন্তু একটা জিনিস যা আছে, যার নাম নিয়ে আছেন, সেটাকে মধ্যে দিতে হবে কেন? সেটিকে কেন বাদ দিয়ে দিতে হবে? সেটি রক্ষা করার পরেও তো আমরা সামনের দিকে যেতে পারি।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা ইতিহাসের কান টেনে লম্বা করে দিতে চেয়েছেন। তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন, একজন মানুষ ইতিহাস তৈরি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লাখ লোক জীবন দিয়েছেন, তাঁরা ইতিহাসে নেই, আছেন একজন লোক। এভাবে যদি শিক্ষার ইতিহাসও রচনা করতে চাওয়া হয়, তাহলে সেটির নাম হবে কুশিক্ষা।’
নিজের ঢাকা কলেজে অধ্যয়নের স্মৃতি রোমন্থন করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ঢাকা কলেজ আমার কলেজ।…আমি আমার কলেজকে সেই রকমই দেখতে চাই।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।