রাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জুবেরী ভবনের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটকেন্দ্রের অবস্থা এখন পর্যন্ত ভাল দেখছি। আমরা কারো প্রতি কোন অভিযোগ দিচ্ছি না। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কোন অনিয়ম দেখলে আমরা সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।”

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী আসবে: পুলিশ কমিশনার

অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে: রাবি প্রক্টর

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এই নির্বাচন হচ্ছে। এটাকে দীর্ঘ সময় বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের ভোটের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। আজ ভোট দিয়ে যে আনন্দ পেয়েছি, তা আর জীবনে কখনও পাইনি।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি শিক্ষার্থীরা আমাদের ভোট দেবে। তারা আমাদের গ্রহণ করবে। তারা আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।

‘নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সারাদিন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে। তারা যেন বিমাতাসুলভ আচরণ না করে। ডাকসু ও জাকসুতে কিছু ত্রুটি সামনে এসেছে। সেটা যেন এখানে না হয়।”

এসময় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের মতো ক্যাম্পাসে বহিরাগত না ঢোকার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানিয়ে জাহিদ বলেন, “আমাদের অবস্থানও একই। ক্যাম্পাসে যেন কোনভাবেই বহিরাগত না প্রবেশ করে। ভোট গ্রহণ শেষে যেন সুন্দরভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।”

এর আগে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জুবেরী ভবনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশের দাম এত বেশি কেন, জানতে চেয়ে ‘ভালো উত্তর’ পাননি মৎস্যসচিব

ইলিশ মাছ উৎপাদনে পোনা ছাড়তে হয় না, খাবার দিতে হয় না, তা–ও এত বেশি দাম কেন—সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে কোনো ‘ভালো উত্তর’ এখনো পাননি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই আমার মনে প্রশ্ন ছিল—ইলিশের এত দাম কেন।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই সেমিনারে আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, ইলিশের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয় মাছ ধরতে খরচ বেশি। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য দাম বেড়ে যায়। ঢাকা এলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয় জেনেছি। এসব নিয়ে আরও কাজ করার আছে।

আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এখন ধানের জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে কোনো মাছ হয় না। এগুলোর ব্যবহার কমানো নিয়ে গবেষণা করা দরকার। প্রাণী খাদ্যের দামের কারণে মাছ ও দুধ ডিমের দাম বেড়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রথম আলোর সংবাদ উদ্ধৃত করে সচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম এখন বিড়ালের জন্যও বছরে ৪০০ কোটি টাকার বিদেশি খাদ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমাদের সময়ে বিড়ালের জন্যে বাজার থেকে খাবার আনতে হতো না। এসব খাবার এখন দেশেই তৈরি করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা কৃষক ও কৃষিবিদদের। উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বাজারের সংযোগ খুবই সামান্য। তাই কৃষকদের অবস্থা এখন এখন হাসন রাজার ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানের মতো।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ জমি মোটামুটি অনুর্বর ধরনের, যার পরিমাণ বাড়ছে। বছরে মাথাপিছু খাদ্যের অপচয় আবার গড়ে ৮২ কেজি। তাই দুর্যোগপ্রবণ এই দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষক, গবেষক, সরকার, কৃষক সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

এর আগে সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দিয়া সানো। অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ