যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দীর্ঘ সময় চলবে: ট্রাম্প
Published: 1st, December 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জারি করা স্থগিতাবস্থা ‘দীর্ঘ সময়’ বজায় রাখার ইচ্ছা আছে তাঁর প্রশাসনের।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলির ঘটনার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত হন। এক আফগান নাগরিক এই গুলি করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, বিশ্বের ১৯টি দেশ ট্রাম্প প্রশাসন–ঘোষিত এই পদক্ষেপের আওতায় রয়েছে। দেশগুলো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আছে।
ওয়াশিংটনে গত ২৬ নভেম্বরের ওই গুলির ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়াসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। গুলির ঘটনায় ২০ বছর বয়সী গার্ড সদস্য সারা বেকস্ট্রম নিহত হন। গার্ডের আরেক সদস্য গুরুতর আহত হন।কত দিন এই স্থগিতাবস্থা চলবে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, কোনো সময়সীমা তাঁর মাথায় নেই।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা ওই লোকদের চাই না। জানেন কেন চাই না? কারণ, তাদের অনেকেই ভালো নয়। এবং তাদের আমাদের দেশে থাকা উচিত নয়।’
ওয়াশিংটনে গত ২৬ নভেম্বরের ওই গুলির ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়াসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। গুলির ঘটনায় ২০ বছর বয়সী গার্ড সদস্য সারা বেকস্ট্রম নিহত হন। গার্ডের আরেক সদস্য গুরুতর আহত হন।
গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-সমর্থিত যে বাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, তার সদস্য ছিলেন লাকানওয়াল। ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার পর চালু হওয়া একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পান।
আরও পড়ুনতৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করায় কী প্রভাব পড়বে৩০ নভেম্বর ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন চলতি বছরের এপ্রিলে লাকানওয়ালের আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তাঁর বিষয়ে যথাযথ যাচাই-বাছাই করেনি তৎকালীন জো বাইডেন সরকার। যাচাই-বাছাইয়ে শিথিলতার সুযোগ নিয়ে লাকানওয়াল যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পেরেছেন।
গুলির ঘটনার পর ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিতে তিনি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন।
কোন কোন দেশের নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব পড়বে—এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এএফপিকে ১৯টি দেশের একটি তালিকার দিকে ইঙ্গিত করে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আছে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান ও মিয়ানমার। গত জুন মাস থেকে এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আছে।
আরও পড়ুনঅভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করছে যুক্তরাষ্ট্র২৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ল র ঘটন র পর য ক তর ষ ট র র ল ক নওয় ল গ ত কর ঘটন য় আফগ ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আলোচিত রায়হান হত্যার রায় ৭ জানুয়ারি
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার রায় আগামী ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবেন আদালত। রবিবার (৩০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের দাবি ছিল-পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খলাপাড়ার গণহত্যা দিবস: স্বাধীনতার প্রান্তে শহীদ হন ১০৬ জন
মেহেরপুরে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ২
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল ইসলাম বলেন, “আদালতে কারাবন্দি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এর আগে, ২৬ নভেম্বর মামলার পলাতক থাকা পাঁচ আসামির যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি রায়হান হত্যার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানান।”
সূত্র জানায়, মামলার অন্য আসামিদের বেশির ভাগই জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলেও পরবর্তীতে তাঁর জামিন স্থগিত করা হয় এবং ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি আদালতে হাজির না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এরপর এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ২০২১ সালের ৫ মে।
অভিযুক্তরা হলেন- ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
এ মামলায় ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। চার বছর পর এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন রায়হানের পরিবার।
ঢাকা/রাহাত/মাসুদ