আলোচিত রায়হান হত্যার রায় ৭ জানুয়ারি
Published: 1st, December 2025 GMT
সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার রায় আগামী ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবেন আদালত। রবিবার (৩০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের দাবি ছিল-পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খলাপাড়ার গণহত্যা দিবস: স্বাধীনতার প্রান্তে শহীদ হন ১০৬ জন
মেহেরপুরে ১০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ২
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল ইসলাম বলেন, “আদালতে কারাবন্দি বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এর আগে, ২৬ নভেম্বর মামলার পলাতক থাকা পাঁচ আসামির যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি রায়হান হত্যার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানান।”
সূত্র জানায়, মামলার অন্য আসামিদের বেশির ভাগই জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক। প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলেও পরবর্তীতে তাঁর জামিন স্থগিত করা হয় এবং ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি আদালতে হাজির না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। এরপর এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ২০২১ সালের ৫ মে।
অভিযুক্তরা হলেন- ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন এবং সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
এ মামলায় ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। চার বছর পর এখন রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন রায়হানের পরিবার।
ঢাকা/রাহাত/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ম মল অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের কারা কাকে দলে নিল: নিলাম শেষে দলগুলোর চিত্র
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিপিএল) এর ২০২৫ আসরের নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। নিলামে পাঁচ লাখ ডলারের অফার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজেটে অনেকেই দল পেয়েছেন।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কতো টাকায় কারা কাকে দলে ভেড়াল:
আরো পড়ুন:
অবশেষে দল পেলেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক-মুমিনুল
বিপিএলের নিলামে লিটন, আগেভাগেই দল পেয়েছেন নাজমুল-মিরাজ
| দল | ক্রিকেটার | মূল্য (টাকা) |
| রংপুর রাইডার্স | এমিলিয়া গে (ইতালি) | ১২ লাখ |
| রংপুর রাইডার্স | মোহাম্মদ আখলাক (পাকিস্তান) | ১২ লাখ |
| চট্টগ্রাম রয়্যালস | নিরোশান ডিকভেলা (শ্রীলঙ্কা) | ৩৮.৫ লাখ |
| ঢাকা ক্যাপিটালস | দাসুন শানাকা (শ্রীলঙ্কা) | ৬০.৫ লাখ |
| রাজশাহী ওয়ারিয়র্স | দুশান হেমান্থ (শ্রীলঙ্কা) | ২৭.৫ লাখ |
| নোয়াখালী এক্সপ্রেস | ইহসানউল্লাহ (পাকিস্তান) | ৩০.৮ লাখ |
| ঢাকা ক্যাপিটালস | জুবাইরউল্লাহ আকবরি (আফগানিস্তান) | ২২.০ লাখ |
| চট্টগ্রাম রয়্যালস | অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (শ্রীলঙ্কা) | ২২.০ লাখ |
নিলামে বিদেশি দলে নেওয়ার ধারা ও দলের পরিকল্পনা:
রংপুর রাইডার্স: প্রথম দিকে বিদেশি খেলোয়াড় নিলামে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তারা গতিশীল দল গঠনের দিকে মন ঘোরায় এবং শেষপর্যায়ে ইতালি ও পাকিস্তানের দুই বিদেশি ক্রিকেটার- এমিলিয়া গে ও মোহাম্মদ আখলাককে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।
ঢাকা ক্যাপিটালস: দুই বিদেশিকে দলে নিয়ে তাদের অলরাউন্ডার ও পেস-সম্পর্কিত শক্তি নিশ্চিত করেছে; বিশেষ করে দাসুন শানাকা (৫৫ হাজার ডলারে) এবং জুবাইরউল্লাহ আকবরি (২০ হাজার ডলারে) নিয়ে তারা ব্যালান্সড দলে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম রয়্যালস ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স তাদের দল সাজাতে শ্রীলঙ্কা থেকে খেলোয়াড় নিয়েছে (ডিকভেলা, পেরেরা, হেমান্থ), যা তাদের স্পিন/আলরাউন্ড বলিং বিভাগে ভারসাম্য আনবে।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস: পাকিস্তানি পেসার ইহসানউল্লাহকে ২৮ হাজার ডলার বাজেটে ধরে নিয়ে স্পিন-পেসের মিশ্রক গঠনের দিকে আগ্ৰসর হয়েছে।
নিলামের এই দফাতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি দলই দলে বিদেশি শক্তি যোগ করতে চেয়েছে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং বোলিং-ব্যাটিং ভারসাম্য নিশ্চিত করতে। বাজেট অনুযায়ী যারা বেশি বাজি ধরেছেন (যেমন শানাকা), তারা মূলত আলরাউন্ডার বা দারুণ পেসার, যা দলকে স্বাবলম্বী করতে পারে।
অন্য দিকে, যেসব দল শেষ মুহূর্তে দলে ঢুকেছে, তারা হয়তো রিস্ক নিয়েছে- কিন্তু বড় প্রতিদানও পাচ্ছে: কম বাজেটে এমন খেলোয়াড় যারা প্রথম থেকেই দলে কমন ছিল না।
ঢাকা/আমিনুল