নদী বাঁচাতে ঈদযাত্রায় প্লাস্টিককে ‘না’: লঞ্চঘাটে বিশেষ প্রচারাভিযান
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদযাত্রায় নদীপথে যাতায়াত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জনের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যাবহার বন্ধ করি, নদী দূষণ রোধ করে জলজ জীববৈচিত্র রক্ষা করি’-স্লোগানে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার এখনই সময়’
বাংলাদেশে এবার বিশ্বপরিবেশ দিবস পালিত হবে ২৫ জুন
জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং, পরিবেশবান্ধব ব্যাগ সরবরাহ, এবং লঞ্চ ও ফেরির চালক-স্টাফদের মাঝে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সচেতনতামূলক প্রচারে জানানো হয়, পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নদী দূষণের অন্যতম কারণ। এগুলো নদীতে জমে জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলে। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যত্রতত্র প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে এই দূষণ আরো বেড়ে যায়।
পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সব যাত্রী, ব্যবসায়ী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে প্লাস্টিক বর্জনে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, পরিবেশ রক্ষায় সবার সম্মিলিত সচেতনতাই হতে পারে নদী ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষার মূল চাবিকাঠি।
ঢাকা/আসাদ/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?