মেঘনায় মরা মাছ ও জলজ প্রাণীর পরিমাণ কমেছে, তদন্তে পাওয়া গেছে ‘পানি দূষিত’
Published: 20th, May 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীর এখলাশপুর থেকে ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় মরে ভেসে ওঠা মাছ ও জলজ প্রাণীর পরিমাণ কমেছে। তীরে জমে থাকা মাছ ও জলজ প্রাণীও বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। নদীর তীরবর্তী দুর্গন্ধময় পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। তবে মেঘনার সবুজ ও মিঠাপানির রং এখনো ঘোলাটে ও কালচে রয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মেঘনার দশানী, মোহনপুর, এখলাশপুর, ষাটনল ও বাবুরবাজার এলাকায় গিয়ে এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে মেঘনার পানির দূষণমাত্রার পরিমাণ ও সত্যতা তদন্তে গত আগস্টে গঠিত কমিটি পানিতে অক্সিজেন ও পিএইচের মাত্রা হ্রাস এবং অ্যামোনিয়ার মাত্রা বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই তদন্ত কমিটির এক সদস্য।
আরও পড়ুনমেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ ও জলজ প্রাণী১৮ মে ২০২৫গতকাল দুপুরে কয়েকটি এলাকা ঘুরে সেখানে ভেসে ওঠা মরা মাছ ও জলজ প্রাণী তেমন দেখা যায়নি। পানিতে কিছু ছোট ছোট মরা মাছ রয়েছে। তবে সেগুলো দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় না। নদীর তীরে স্তূপ হয়ে থাকা মাছও দেখা যায়নি। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে, জোয়ারের পানি ও ঢেউয়ে এসব মাছ তীর থেকে নদীতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসব এলাকার নদীর তীর অনেকটাই ছিমছাম ও পরিচ্ছন্ন। তবে মেঘনার পানির রং এখনো ঘোলাটে দেখা গেছে।
মেঘনার তীরবর্তী দশানী এলাকার মো.
গত আগস্টে মাছ ও জলজ প্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও মৎস্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, তাঁরা বিষয়টি তদন্ত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিয়েছেন। পরীক্ষায় ওই এলাকায় মেঘনার পানিতে অধিক মাত্রার অ্যামোনিয়া ও অক্সিজেন ও পিএইচের পরিমাণ অনেক কম থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, রোববার থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে এবং জোয়ারের টানে ভেসে ওঠা মরা মাছ অন্যত্র চলে গেছে। তীরেও জমে থাকা মাছ দেখা যাচ্ছে না। তবে গত শুক্রবার থেকে দুই-তিন দিন মেঘনায় ব্যাপক হারে মরা মাছ ও জলজ প্রাণী ভেসে উঠেছিল।
মৎস্য কর্মকর্তা দাবি করেন, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা হয়ে জোয়ারের স্রোতে মেঘনার সবুজ মিঠাপানিতে মিশে যাচ্ছে। এ কারণে মেঘনার পানি পুনরায় দূষিত হচ্ছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, দূষণ বেড়ে যাওয়ায় মেঘনার পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে এবং অক্সিজেন ও পিএইচের পরিমাণ কমেছে। এ জন্য এত হারে মাছ মরছে।
আরও পড়ুনচাঁদপুরে মেঘনায় মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন৩১ জানুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ছ ও জলজ প র ণ ম ঘন র প ন নদ র ত র র পর ম ণ ম ঘন য় এল ক র এল ক য় র এল ক য় ম ঘন ত কম ট পর ব শ তদন ত সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল