চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। 

রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজশাহী শহরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে জেলেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলাভূমির দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণিবৈচিত্র্যের ওপর চায়না দুয়ারি জালের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। দেশীয় মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি এবং জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা রক্ষায় এ জালসহ সব ধরনের ক্ষতিকর মাছ ধরার সরঞ্জাম দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।

তারা বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এবং মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ। তবু, কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যজীবী এসব জাল ব্যবহার করে নদী, খাল-বিলের দেশীয় মাছ ধ্বংস করছে এবং ঐতিহ্যবাহী জেলে সম্প্রদায়কে জীবিকার সংকটে ফেলছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেলেরা অভিযোগ করেন, এসব জালের কারণে শুধু মাছ নয়, জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য প্রাণী— যেমন: ব্যাঙ, কচ্ছপ, পাখি ও জলজ উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে। রাসায়নিক ও কীটনাশকের অতি ব্যবহার এবং চায়না দুয়ারি জালের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জলজ পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

চায়না দুয়ারি বা কারেন্ট জাল বন্ধ না করলে দেশীয় মাছ এবং জলজ প্রাণিবৈচিত্র্য পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলেরা। 

মানববন্ধন ও সমাবেশের পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- গোকুল মথুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গ্রিন কোয়ালিশনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকী, বারসিকের রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামান কাদেরী, আদিবাসী যুব পরিষদের রাজশাহী জেলার সভাপতি উপেন রবিদাস, সমাজকর্মী সম্রাট রায়হান, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রূপগঞ্জে হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(২৪ অক্টোবর)জুমার নামাজ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ এলাকায় সর্বস্তরের তাওহীদী জনতার উদ্দোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হাফেজ মাওলানা মুফতি শিহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি রাসেল আহমদ ফয়েজির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী। 

বক্তারা ইস্কনকে একটি “উগ্র হিন্দুত্ববাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাগিচা পুরী বলেন,দেশে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ইস্কন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।এ উগ্র সংগঠনকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

তারা এ্যাডভোকেট আলিফকে হত্যা করেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও ইমাম-খতিবদের উপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি গাজীপুরে গুমের ঘটনায়ও তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সন্ত্রাসী ইসকনের সদস্য যখন ধর্ষণ করে তখন তার পক্ষেই পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যন্ত বিবৃতি দেয়া হয় এবং ধর্ষণের ঘটনাকে প্রেমের সম্পর্ক বলে অপরাধকে ছোট করে ধর্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ইসকন সদস্য ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দালালদের বের করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সরকার যেন এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওমর আলী ভূঁইয়া, আবু দায়েন ভূঁইয়া,আবু তৈয়ব ভূঁইয়া, আবু সায়েম ভূঁইয়া, আল আমিন মিয়া, আমির হোসেন, মোবাশ্বির ভূঁইয়া, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহর বন্দর ভাগ হলে, ভাগ হয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জের ভাগ্য : তরিকুল সুজন 
  • বাউফলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ‘খ্রিস্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বা
  • সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • সোমবার থেকে কুয়াকাটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ 
  • ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে রূপগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বেরোবি শিক্ষার্থীদের
  • ইসকন সদস্যদের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদে বুটেক্সে মানববন্ধন
  • ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন