রাস্তার ওপর পলিথিনে ছাওয়া টং ঘর। ভিতরে গরু-ছাগলের পাশে ঘুমানোর ব্যবস্থা। এক চৌকিতে থাকছে হচ্ছে পরিবারের সবাইকে। রাস্তার ওপরই মাটির চুলায় হয় রান্না। 

সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের একটি রাস্তায় এ চিত্র দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার ৩০ দিন পার হলেও পানি না কমায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। 

দুর্গত লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। অনেক এলাকায় রাস্তা পানির নিচে চলে গেছে। তাদের চলাচলের মাধ্যম এখন শুধু নৌকা।

অভয়নগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ভবদহ নামক স্থানে শ্রী নদীর ওপর ২১ ভেন্ট, ৯ ভেন্ট ও ৬ ভেন্টের স্লুইসগেট পাকিস্তান আমলে সবচেয়ে বড় প্রকল্প ছিল। সময়ের ব্যবধানে তা এখন বিশাল জনপদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি মানুষগুলো ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে আন্দোলন করছেন। সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেছেন, “আমরা কি জলজ প্রাণী! দ্রুত জলাবদ্ধতার সমাধান না হলে কৃষক-শ্রমিকদের নিয়ে রাজপথে অবস্থান নেব। সাপ-ব্যাঙের সাথে আমাদের বসবাস। সরকার ও আমলারা মিলে আমাদের জলজ প্রাণী বানিয়ে রাখছে। আমরা জলজ প্রাণী হয়ে বাঁচতে চাই না।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি জানিয়েছেন, নদীতে জোয়ারের সময় ভবদহ স্লুইসগেটের ২১ ভেন্টের ওপর চারটি বড় ও ১৫টি ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে পানি সেচে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ভাটির সময় ছয়টি গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। গেটগুলো দিয়ে প্রচুর পানি বের হচ্ছে। পানি দ্রুত সরে যাবে। 

তিনি জানান, ভবদহ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য আগামী মাসে সেনাবাহিনী ছয়টি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খনন শুরু করবে। আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। দুই-এক মাসের মধ্যে আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

জলাবদ্ধ ভবদহে রাস্তার ওপর গরু-ছাগলের সঙ্গে থাকছে মানুষ

রাস্তার ওপর পলিথিনে ছাওয়া টং ঘর। ভিতরে গরু-ছাগলের পাশে ঘুমানোর ব্যবস্থা। এক চৌকিতে থাকছে হচ্ছে পরিবারের সবাইকে। রাস্তার ওপরই মাটির চুলায় হয় রান্না। 

সম্প্রতি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের একটি রাস্তায় এ চিত্র দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার ৩০ দিন পার হলেও পানি না কমায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। 

দুর্গত লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। অনেক এলাকায় রাস্তা পানির নিচে চলে গেছে। তাদের চলাচলের মাধ্যম এখন শুধু নৌকা।

অভয়নগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ভবদহ নামক স্থানে শ্রী নদীর ওপর ২১ ভেন্ট, ৯ ভেন্ট ও ৬ ভেন্টের স্লুইসগেট পাকিস্তান আমলে সবচেয়ে বড় প্রকল্প ছিল। সময়ের ব্যবধানে তা এখন বিশাল জনপদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দি মানুষগুলো ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে আন্দোলন করছেন। সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী বলেছেন, “আমরা কি জলজ প্রাণী! দ্রুত জলাবদ্ধতার সমাধান না হলে কৃষক-শ্রমিকদের নিয়ে রাজপথে অবস্থান নেব। সাপ-ব্যাঙের সাথে আমাদের বসবাস। সরকার ও আমলারা মিলে আমাদের জলজ প্রাণী বানিয়ে রাখছে। আমরা জলজ প্রাণী হয়ে বাঁচতে চাই না।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি জানিয়েছেন, নদীতে জোয়ারের সময় ভবদহ স্লুইসগেটের ২১ ভেন্টের ওপর চারটি বড় ও ১৫টি ছোট বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে পানি সেচে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ভাটির সময় ছয়টি গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। গেটগুলো দিয়ে প্রচুর পানি বের হচ্ছে। পানি দ্রুত সরে যাবে। 

তিনি জানান, ভবদহ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য আগামী মাসে সেনাবাহিনী ছয়টি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খনন শুরু করবে। আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। দুই-এক মাসের মধ্যে আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ