Prothomalo:
2025-11-08@20:34:20 GMT

দুর্লভ দুই জলজ ফুল

Published: 10th, August 2025 GMT

হলুদ শাপলা প্রথম দেখি বলধা গার্ডেনের সাইকি অংশে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফুলটি বিভিন্ন উদ্যান ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে দেখা যায়। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যান ও জামালপুরের কাপাসহাটিয়া গ্রামের মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘর প্রাঙ্গণে হলুদ শাপলা দেখা যায়। এই ফুল আমাদের দেশের জলাশয়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায় না। এ কারণে ফুলটি নিয়ে আগ্রহেরও কমতি নেই।

আমাদের জলাশয়গুলোতে বিচিত্র ধরনের শাপলাসহ অনেক জলজ ফুল ফোটে। তবে জলাশয়গুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট হওয়ায় এবং দূষণের কারণে এসব ফুলের সংখ্যা কমছে। শাপলার যে প্রজাতিটি আমাদের জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত, সে ফুলের প্রাকৃতিক আবাসও প্রতিনিয়ত সংকুচিত হচ্ছে। বিল-ঝিলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো সাদা পদ্ম এখন বিরল হয়ে উঠেছে। অনেকেই শখ করে এই পদ্ম চাষ করেন। হলুদ শাপলা বা সোনালি শাপলাও একইভাবে সীমিত পরিসরে চাষ করা হয়। সাধারণত শখ করে রোপণ করা হয় এই ফুল। আমাদের জলাশয়ে বিচিত্র শাপলার সঙ্গে অন্যতম সংযোজন হলুদ শাপলা। এরা পানির ৫ মিটার গভীর পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকতে পারে। বদ্ধ জলাশয়ে জন্মে বেশি। কালচে সবুজ পাতাগুলো সাধারণত পানিতে ভাসে, দৈবাৎ পদ্মপাতার মতো কিছুটা ওপরও থাকতে পারে।

হলুদ শাপলা (Nymphaea amazonum) বহুবর্ষজীবী জলজ বীরুৎ। পাতা বর্তুলাকার, পাদদেশ হৃৎপিণ্ডাকার এবং গোলাকার খণ্ডকবিশিষ্ট, অখণ্ড, নিচের পিঠ সচরাচর লালচে বাদামি। বৃত্যংশ শৈলশিরাময় নয়, বাইরের পীঠ হলুদাভ সবুজ এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোলাপি বিন্দুবিশিষ্ট, অখণ্ড এবং আগা তীক্ষ্ণ। পাপড়ি হলুদাভ সাদা, ৪ থেকে ৫টি সারিতে সজ্জিত। পুংকেশর অসংখ্য, ৫ বা ততধিক শ্রেণিতে বিন্যস্ত, বাইরের পুংকেশরগুলো হলুদাভ সাদা, ভেতরেরগুলো হলুদ। গর্ভপত্র প্রায় ১ সেন্টিমিটার লম্বা, গর্ভমুণ্ডের রশ্মি ১০ থেকে ১৫টি। ফুল ও ফলের মৌসুম এপ্রিল থেকে আগস্ট। আদি আবাস উষ্ণমণ্ডলীয় আমেরিকা।

আমাদের জলাশয়গুলোতে বিচিত্র ধরনের শাপলাসহ অনেক জলজ ফুল ফোটে। তবে জলাশয়গুলো অপরিকল্পিতভাবে ভরাট হওয়ায় এবং দূষণের কারণে এসব ফুলের সংখ্যা কমছে। শাপলার যে প্রজাতিটি আমাদের জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত, সে ফুলের প্রাকৃতিক আবাসও প্রতিনিয়ত সংকুচিত হচ্ছে।

নিম্ফিয়া লোটাস

শাপলা ফুলের কোনো রকমফের যে পদ্ম নামে পরিচিত হতে পারে, তা জানা ছিল না। ফুলটির উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Nymphaea Lotus তো সে কথাই প্রমাণ করে। ফুলটি নিয়ে লিখতে বসে এসব তথ্য জানা হলো। আমাদের জলাশয়গুলোতে যেসব শাপলা দেখা যায়, তার চেয়ে এ ফুল আকারে বেশ বড়। দেখেছি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। অন্যান্য শাপলা ফুল থেকে তুলনামূলক বড়, পাপড়ির সংখ্যাও বেশি। এ কারণে সহজেই নজর কাড়ে। হলুদ শাপলার মতো এটিও আমাদের দেশে আবাদিত। সাধারণত শোভাবর্ধক হিসেবে বিভিন্ন জলাশয়ে চাষ করা হয়। এই ফুল নিম্ফিয়া পদ্ম, সাদা মিসরীয় পদ্ম, বাঘ পদ্ম অথবা মিসরীয় জলজ লিলি নামেও পরিচিত। এটি মিসরের জাতীয় ফুল।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের লিলিপুলে ফোটা নিম্ফিয়া লোটাস।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র জ শ পল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘মেরিনার কাজে প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়’

স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল বলেছেন, ‘মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।’

সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার পান মেরিনা তাবাশ্যুম। এই পুরস্কারপ্রাপ্তি উদ্‌যাপন করতে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নাহাস আহমেদ।

মেরিনা তাবাশ্যুম সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেকচারের চেয়ারপারসন জয়নব ফারুকি আলী বলেছেন, ‘স্থাপত্য মানুষের জীবন ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কী অসাধারণভাবে মিশে যায়, মেরিনা তাবাশ্যুম সেটার স্বাক্ষর রেখেছেন তাঁর ঢাকার দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদে। ২০১৬ সালে যখন মসজিদটির উদ্বোধনে যাই, তখন মসজিদটির মোয়াজ্জিনের কাছে জানতে চাই, এ মসজিদের কোন বিষয়টি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে। মোয়াজ্জিন বলেছিলেন, “আমার এখান থেকে আজান দিতে ভালো লাগে।”’

মেরিনা তাবাশ্যুমের কাজে একজন প্রকৃত শিল্পীর অভিব্যক্তি দেখা যায়, যা নৈতিকভাবে শক্তিশালী ও সৎ। অভিব্যক্তিতে (এক্সপ্রেশন) সততা না থাকলে আমরা এগোতে পারব না।স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল।

গতকাল ‘বিটুইন ইরোজন অ্যান্ড ইমার্জেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আর্কিকানেক্টের সহযোগিতায় সিরামিক বাংলাদেশ ম্যাগাজিন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আর্কিকানেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থপতি জালাল আহমেদ।

মেরিনা তাবাশ্যুম বলেন, ‘মসজিদের প্রকল্পটি ছিল ব্যক্তিগত। নানির দান করা জায়গায় ২০০৬ সালে এ মসজিদটির ডিজাইন শুরু করি। এটিকে শুধু মসজিদ হিসেবে না দেখে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুক্ত করে মোর দ্যান মস্ক (মসজিদের চেয়েও বেশি কিছু) হিসেবে দেখার চেষ্টা করেছি।’

অনুষ্ঠান কথা বলছেন স্থাপতি মেরিনা তাবাশ্যুম

সম্পর্কিত নিবন্ধ